হোম জাতীয় ৪০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত হলো চট্টগ্রাম বন্দরে

জাতীয় ডেস্ক:

১৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনেই চারশ’ কোটি টাকা মূল্যের গ্যান্টি ক্রেনসহ ২৪টি অত্যাধুনিক যন্ত্র বহরে যুক্ত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এসব যন্ত্রপাতির কমিশনিং করেন।

এদিন চট্টগ্রাম বন্দরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরের জেটিতে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বেলুন উড়িয়ে কমিশনিং করছিলেন, তখনই সবগুলো যন্ত্রপাতি একযোগে সাইরেন এবং হুইসেল বাজিয়ে আনন্দ আয়োজনে যোগ দেয়।

পৃথিবীর ব্যস্ততম ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৭তম। প্রতিবেশী দেশগুলোর বন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি সক্ষমতা বাড়াতে ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ১৪০টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করছে চট্টগ্রাম বন্দর। এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ সংযোজন হলো ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি যন্ত্রপাতি। বাকি গ্যান্টি ক্রেনসহ যন্ত্রপাতি পর্যায়ক্রমে বন্দরের বহরে যুক্ত হবে।

এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ২৪৪ কোটি টাকার ৪টি গ্যান্টি ক্রেন এবং ৭১ কোটি টাকার ৬টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্টি ক্রেন চীন থেকে কেনা হয়েছে। ১৪ কোটি টাকার ৪টি রিচ স্টেকার জার্মানি থেকে কেনা হয়েছে। এছাড়া ২৬ কোটি টাকার ৪টি ভেরিয়েবেল রিচ ট্রাকসহ বাকি যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে ফ্রান্স এবং ফিনল্যান্ড থেকে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের যন্ত্রগুলোই ব্যবহার করি, যাতে সেই যন্ত্রপাতির সক্ষমতা ভালো থাকে। এই যন্ত্রপাতিগুলোর জন্য বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের গতি অনেক বেড়ে যাবে। তাতে রাজস্ব আয়ও বাড়বে। এছাড়া যারা আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহার করেন তারাও অনেক বেশি লাভবান হবেন।

আজ থেকে ১৩৫ বছর আগে বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এই বন্দরের। বিশেষ এই দিনে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি বহরে যুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এবং বে-টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে জানালেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমরা বন্দরের সক্ষমতা আরও এগিয়ে নিতে চাই। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্বের যে কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়, তাদের স্বাগত জানাবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন