জাতীয় ডেস্ক :
কখনো রাজমিস্ত্রী তো কখনো আবার ইলেক্ট্রিক কিংবা স্যানিটারি মিস্ত্রী। নাম পরিবর্তন করে মো. কাওছার (৬৩) এখন ইমরান মাহামুদ। ছদ্মনামে আত্মগোপনে ছিলেন ঢাকা মহানগরীর এলাকায়। ফাঁসির সাজা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়ান ৩১ বছর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার।
রোববার (২০ জুন) মানিকগঞ্জের আজহার (৪০) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি কাওছারকে গ্রেফতারের পর র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মানিকগঞ্জের আজহারের বিবাহিত বোন অবলার সঙ্গে কাওছারের পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে আজহারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মারা যায় কাওছার। ১৯৯১ সালের করা সেই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন কাওছার।
তিনি বলেন, আজহার হত্যা মামলায় কাওছার মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দুই মাস হাজতে থেকে জামিনে বের হয়ে গিয়েছিল। জামিনে বের হয়ে আজাহারের বোন (বর্তমান স্ত্রী অবলা) পাঁচ সন্তানের মাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১৯৯২ সালে চার্জশিটের ভিত্তিতে প্রধান আসামি হিসেবে কাওছারকে ফাঁসির রায় দেয় আদালত।
জানা যায়, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন মো. কাওছার। ব্যক্তিগত জীবনে আসামি দুটি বিয়ে করেছেন। এরমধ্যে অবলার সঙ্গে সম্পর্ক হলে তার প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে দেন।