জাতীয় ডেস্ক:
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রালারটি পদ্মা নদীর ৩০ ফুট নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর ক্রেন বোট দিয়ে ৩০ ফুট পানির নিচ থেকে টেন তোলা হয় ট্রলারটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া, ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটরসাইকেল।
এর আগে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি চর হাসাইলের মিয়াবাড়ি ঘাট থেকে হাসাইল বাজারের দিকে যাচ্ছিল। অন্ধকারে একটি বাল্কহেড এসে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায় নৌযানটি। এ ঘটনায় ফহিজা আক্তার নামে এক শিশু ও সিফা আক্তার নামে এক কিশোরী মারা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় নিখোঁজরা হলেন- রাজধানীর ধানমন্ডীর বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান রানা ও সিরাজদিখানের মালখানগর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ট্রলারে নিখোঁজ মাহফুজুর রহমান রানার পরিবারের ৫ সদস্য ছিলেন। এরমধ্যে স্ত্রীসহ তিনজন জীবিত উদ্ধার হলেও খালাতো বোন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সেফা আক্তার মারা যায়।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তফা মোহসিন জানান নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। ধাক্কা দেয়া বাল্কহেডটি আটকের পর আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, কঠোর ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারে চারজন ছাড়া বাকিরা নিরাপদে তীরে উঠতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর ক্রেনে করে টেনে তোলা হয় ৫৬ ফুট দীর্ঘ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি। এর সাড়ে ৫ ঘণ্টা আগে ৩০ ফুট পানির নিচে শনাক্ত করা হয় ট্রলারটি।