রাজনীতি ডেস্ক:
সরকার পুরানো কায়দায় গুম-নির্যাতনের মাত্রা আবারও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মতে, ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে এর মাত্রা বেড়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এমন অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা, গ্রেফতার ও সাজা দিচ্ছে সরকার। বিশেষ করে ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে এর মাত্রা বেড়েছে। মনে হচ্ছে, সরকার পুরানো কায়দায় গুম-নির্যাতনের মাত্রা আবারও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অথচ আওয়ামী লীগ মুখে সুষ্ঠু অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার কথা বলছে। কিন্তু তাদের ভেতরে অন্যকিছু চলছে। তারা প্রি-ইলেকশন রিগিং শুরু করেছে। নির্বাচনের বেশ আগেই সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলেও অভিযোগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
তার মতে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর অস্ত্র উদ্ধারের মতো ঘটনা দেখিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবারও বিএনপির ওপর দায় চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার। অস্ত্র পাওয়া নিয়ে পুলিশের বক্তব্য বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। সরকার নিজেরাই সহিংসতা চালিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে,’ যোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখতে সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করে প্রাক নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে সরকার। কিন্তু এ পথে হেঁটে সরকার খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। জনগণ তাদের সাথে আর নেই।
তিনি বলেন, এই সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকার সমস্ত শক্তি দিয়ে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে কাজ করছে।