হোম খেলাধুলা ২০ বছরের তরুণ লেভানদোভস্কি!

খেলাধূলা ডেস্ক :

বায়ার্ন মিউনিখে গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া রবার্ট লেভানদোভস্কি বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে কিছুটা যেন ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। হয়তো বার্সেলনার টিকিটাকার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই সময়টা লাগছিলো। তবে অবশেষে রোববার (২১ আগস্ট) স্বরূপে ফিরেছেন লেভা। মাত্র ৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন গোলের খাতা খুলতে। পরে তো জোড়া গোলে দলের বড় জয়ে রেখেছেন অবদান। ৩৪ বছর বয়সী পোলিশ তারকার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কোচ জাভি বলছেন, লেভাকে দেখে ২০ বছর বয়সী কোন খেলোয়াড় মনে হয়েছে তার।

বায়ার্ন মিউনিখ থেকে অনেকটা জোর করেই বার্সেলোনায় আসা পোলিশ তারকা লেভানদোভস্কির। নতুন চ্যালেঞ্জের সন্ধানে কাতালান ক্লাবে যোগ দিয়ে গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না বুন্দেসলিগায় গোলবন্যা বইয়ে দেওয়া তারকা। অবশেষে গোলখরা কাটানোর জন্য মোক্ষম দিনটাই বেছে নিলেন তিনি। রোববার (২১ আগস্ট) ছিল লেভার ৩৪তম জন্মদিন। জন্মদিনেই নতুন ক্লাবের হয়ে গোলের খাতাটা খুললেন তিনি। তাও ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মাথায়।

লা লিগায় নতুন মৌসুমের শুরুটা মনমত হয়নি কাতালান জায়ান্টদের। প্রথম ম্যাচেই গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট হারাতে হয়েছে পুঁচকে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই আক্ষেপ ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাভির দল। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে রিয়াল সোসিয়েদাদকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। প্রতিপক্ষের মাঠে এমন জয় যে কোন কোচকে নিশ্চয়তা দেবে যে, সঠিক পথেই আগাচ্ছে দল। তার প্রমাণও কাল ক্লাবটার খেলায় ছিল। লেভানদোভস্কির জোড়া গোলের সঙ্গে আনসু ফাতি ও উসমান দেম্বেলেও পেয়েছেন গোলের দেখা।

ম্যাচ শেষে কোচ জাভির কণ্ঠেও লেভা বন্দনা। বায়ার্ন ছেড়ে বার্সায় আসা তারকার বয়স গতকাল পেরিয়ে গেছে ৩৪ এর কাঁটা। কিন্তু খেলায় বয়সের ছাপ নেই মোটেই। এ বয়সেও গোলের ক্ষুধাটা একটুও কমেনি পোলিশ তারকার। লেভার প্রশংসা করতে গিয়ে জাভি বলেন, ‘তার বয়স ৩৪ বছর হলেও তাকে দেখে মনে হয়েছে ২০ বছরের তরুণ। যে গোলগুলো সে করেছে, সেগুলো ছিল পাগুলে। সর্বোপরি এগুলোই দলের কাজে এসেছে।’

গত মৌসুমটা ইনজুরিতে পড়ে খুব একটা ভালো কাটেনি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতির। নতুন মৌসুমে চোটমুক্ত থেকে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে চায় এই ফরোয়ার্ড। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৬৩ মিনিটে ফেরান তোরেসের বদলি হিসেবে নেমে গোল করেছেন তিনি। তাকে নিয়েও উচ্ছ্বাস বার্সা বসের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঝুঁকি নিতে হতো। ঝুঁকি নিয়েই রাফিনিয়া ও আনসুকে মাঠে নামিয়েছি। আমাদের আরও চার-পাঁচজন ফরোয়ার্ড ছিল। ঝুঁকি নিলেও শেষ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে।’

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পরের ম্যাচেই শক্তিশালী সোসিয়েদাদকে তাদের মাঠেই ৪ গোল দেওয়ায় দলের খেলায় খুশি জাভি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, খুব ভালো খেলেছি আমরা। রিয়াল সোসিয়েদাদ এমন একটি দল, তাদের পায়ে বল থাকলে আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে। আমরা জানতাম, তাদের কাছ থেকে বল কীভাবে কেড়ে নিতে হয়।’

প্রতিপক্ষের মাঠে এই জয়কে কীভাবে দেখেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বস জাভি বলেন, ‘এই মাঠে (আনেওতা) জেতাটা সব সময়ই খুব কঠিন। কিন্তু আমরা জানি, প্রতিপক্ষের মাঠে কীভাবে খেলতে হয়। গত সপ্তাহে একটা ধাক্কা খেয়েছি আমরা আর এই জয় আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন