রাজনীতি ডেস্ক:
আবারও নির্বাচন চায় বিএনপি। ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এজন্য তারা সহায়তা চান ওয়াশিংটনের।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির শনিবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি ছিলো প্রায় ঘন্টাব্যাপী। এত দীর্ঘ আলোচনার পরও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মুখ খোলেননি বিএনপি নেতারা। একদিন পরই রোববার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক সময় সংবাদকে জানালেন, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কাছে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতনের তথ্য ও চিত্র ডকুমেন্ট হিসেবে সরবরাহ করা হয়েছে।
বিএনপি আবারও নির্বাচন চায়- সেই দাবিও তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানান জয়নুল আবদীন। বিএনপির দাবি, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র ইস্যুতে আগের অবস্থানই আছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় এই দেশে তাদের দেশের মতো একটা নির্বাচন হোক।
জয়নুল আবদীনের মতে, বর্তমান দেশে যে সংকট বিরাজমান তা একমাত্র ক্ষমতাসীন সরকারই দূর করতে পারে, আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করে।
এদিকে আজও সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি কখনও পিছপা হবে না, রাজপথ ছাড়বে না।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতারা।
শনিবার তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। দলটির প্রতিনিধিরা হলেন: রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলর (এনএসসি) ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করবেন তারা। সফরকালে তারা তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, সুশীল সমাজ, শ্রম সংগঠক এবং মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথেও বৈঠক করবেন।