৪৯ দিন বয়স শিশুটির। শিশুটিকে মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন দেন তার দাদি। অথচ, শিশুটির মা খুরশীদা ইসলাম খুশী জানতেন না কিছুই। পরে জানতে পারলে বন্দি হন শাশুড়ির হাতে। পরে কৌশলে পালিয়ে যান খুশী। শরণাপন্ন হন পুলিশের। এর দু-ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে মায়ের কোলে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয় তারা।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শোভন চন্দ্র হোড় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটে ২২ মার্চ। আর ৯ এপ্রিল রাজধানীর মুগদা থানায় অভিযোগ করেন খুরশীদা ইসলাম খুশী। অভিযোগের দু-ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিবেক উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।’
পুলিশ জানিয়েছে, খুশীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে গেছেন। অভাবের সংসারে শ্বাশুড়ির কাছে আশ্রয় নেন খুশী। গত ২ মার্চ নিজের বড় ছেলেকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এ সময় ছোট ছেলে তার সঙ্গে ছিল, যার বয়স মাত্র ৪৯ দিন। এসময় পরিচয় হয় পাশের সিটের অন্য এক রোগীর পরিবারের সঙ্গে। ওই পরিবারের একজনের কোন বাচ্চা ছিল না। তাই শিশুটিকে পেতে খুশীর শাশুড়ি হোসনে আরা রিয়াকে টাকার লোভ দেখায় ওই পরিবার।
শোভন চন্দ্র হোড় বলেন, ‘গত ২২ মার্চ খুশীকে কিছুই না জানিয়ে শাশুড়ি মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে খুশীকে বাসায় আটকে রাখেন শাশুড়ি। কৌশলে ছাড়া পেয়ে গত ৯ এপ্রিল খুশী মুগদা থানায় যান, করেন অভিযোগ। এর দুই ঘণ্টার মধ্যে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি মুগদা এলাকা থেকে। তারপর খুশীর কাছে তার সন্তানকে ফিরিয়ে দিই।’