নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষাবর্ষের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৪ জন শিক্ষার্থী এখনও পাঠ্যবই (বাংলা) হাতে পায়নি। অথচ বার্ষিক পরীক্ষার দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত। এই পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সবাই ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন বাংলা বই হাতে না পেয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পুরনো বই নিয়ে ক্লাস করছে। নতুন সূচি অনুযায়ী বই ছাড়াই অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা দিয়েছে তারা। আর কদিন পরেই বার্ষিক পরীক্ষাও। তবে বই না থাকায় নতুন সূচির অনুযায়ী পড়তে পারছে না তারা। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ে গিয়ে সপ্তম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বছর শেষ কিন্তু আমরা বাংলা বই এখনও পাইনি। বছরের শুরু থেকেই ম্যাডাম এবং স্যারকে বারবার বলার পরেও কোনো কাজ হয় নি। বই ছাড়াই আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, এখনও বই পাইনি। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।পাঠ্যবই না থাকায় পড়াশোনা করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করায়। কিন্তু সামনে বার্ষিক পরীক্ষা তারা এখনও বই পাইনি। তাহলে কিভাবে পড়ালেখা করছে? এতগুলো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ক্ষতির দায়ভার কে নিবে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দ্র শেখর সরকার বলেন, সপ্তম শ্রেণির শুধু বাংলা বইটি দেওয়ার বাকি ছিল। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বইটি দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ‘দিচ্ছ, দিচ্ছি’ বলে কালক্ষেপণ করেছে। বাকি সব শ্রেণির বই আমরা বিতরণ করেছি।
তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বললেন, এই বিষয়টি আমি নতুন শুনলাম। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো অভিযোগ বা চাহিদার কথা জানায়নি। তাদের কথাগুলো দায়সারা এবং অপরিপক্ব। জানুয়ারিতেই সারা উপজেলায় বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাদের স্কুলেই বইয়ের গুদাম রয়েছে। সবাই বই পেলে তারা কেন পাবে না? প্রয়োজন হলে আমরা বই ফটোকপি করে ছাপিয়ে দিতাম।