কিশোর কুমার :
সম্প্রতি কোভিট -১৯ আঘাতে সারাবিশ্বের মানুষের জন জীবন এখন বিপন্ন প্রায়। সম্প্রতি বাংলাদেশেও আঘাত আনতে শুরু করেছে ভাইরাসটি। সরকার দেশ ও দেশের জনগণের সুরক্ষায় নিয়েছে নানা রকম কার্যকরী পদক্ষেপ। সমাজের অসহায় মানুষের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে দিচ্ছে ত্রাণসামগ্রী । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য । দেশের এই সংকটময় অবস্থার সুযোগ নিয়ে একদল সার্থন্বেশী জনপ্রতিনিধি-গন চুরি আর লুটপাট করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । বঙ্গবন্ধু যেমনি ১০ কোটি মানুষে ভিড়ে হারিয়ে ছিলেন নিজের কম্বল খানি। তেমনি আজ ও এর ব্যতিক্রম কোনটা ঘটেনি।
মানুষের নৈতিকতার আজ চরম অবক্ষয় ঘটেছে। মানুষের বিবেক, মানবতাবোধ ও মনুষ্যত্ব সবই হারিয়ে গেছে আজ । কেউ বা রাতের আধারে স্বজনকে জঙ্গলে ফেলে পালাচ্ছে কেউবা আবার স্বজনের লাশ ভাসিয়ে দিচ্ছে অজানা নদীতে । তাই আজ প্রশ্ন জাগে মানবতা আজ কোন খানে?। সবকিছু ছাড়িয়ে মানুষ যেন এক পশুতে রূপ নিয়েছে । কেউবা ত্রাণ লুটপাটে ব্যস্ত কেউবা অভাব ও দরিদ্রতা সুযোগ নিয়ে ফটো-সেশনে ব্যস্ত। যা মানুষের দরিদ্রতা নিয়ে জাতির কাছে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। ফটোশেসনের ভয়ে অভাব দারিদ্ররতাকে বুকে চেপে রেখে অনেকে বোবাকান্না নিয়ে নিবৃত্তে দিন পার করছে। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে এমনই সেলফির হিড়কি পড়েছে জনগণের মাঝে। তালা, পাটকেলঘাটা ঘুরে এমনই সব দৃশ্য চোখে পড়ে আজ ।
পেশাগত দ্বায়িক্ত পালনকালে আলোচনা হয় অনেক নামি দামী নেতার সাথে। একান্ত সাক্ষাৎকারে তারা জানায়, আমাদের সামনে তো নির্বাচন জনগণের পাশে একটু দাঁড়ানো উচিত সেই সাথে নিজের প্রচারনাটা হয়েও গেল। কি কি দিচ্ছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান,কিছু চাল, আলু, ডাল আর সাবান ১৫০/২০০ জনকে দিব । আপনারাতো বোঝেন সবাইকে তো দেওয়া সম্ভব না। এ সময় তাদের হাতে দেখা যায় নামী দামী ব্রান্ডের ফোন ব্যবহৃত বিলাশ বহুল গাড়ি নিয়ে ত্রাণ গ্রহীতাকে নিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, কাউকে দান করতে হলে রাতের আঁধারে করো, যাতে কেউ বুঝতে না পারে। কারো দারিদ্রতাকে নিয়ে কথনও তামাশা করনা তাতে মহান সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হবে । দেশের দুঃসময় সমাজের এই দৃষ্টিকোণ থেকে সকলকে বেড়িয়ে আসতে হবে তাহলে সে প্রকৃত মানুষে পরিণত হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে সহযোগিতার নামে কারও দারিদ্রতাকে সামনে এনে গোটা জাতির সামনে তামাশার পাত্র না বানাই।