বিনোদন ডেস্ক:
দশটা রিলেশনশিপ ভাঙলে সমস্যা নেই, অথচ বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। এদিকে শুক্রবার (১১ আগস্ট) মুক্তি পেয়েছে মধুমিতা অভিনীত ‘চিনি ২’।
সিনেমা মুক্তি পেলেও শহরে নেই অভিনেত্রী। বর্তমানে অরুণাচলের পাহাড়ে ‘কে প্রথম কাছে ডেকেছি’র শুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। আর এ সময় শুটিংয়ের ফাঁকে ব্যক্তিজীবনের ডিভোর্স-প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।
মধুমিতা বলেন, “বিয়ে ভেঙেছে মানে সব দোষ মেয়ের। আরে দোষী যে কাউকে হতে হবে তার কোনো মানে নেই। বিয়ে ভাঙার পর যদি সেই মেয়েটা আগের থেকে আরও বেশি স্ট্রং ও স্বাধীন হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। লোকে ভাবে নিশ্চয় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। এসব ভেবে বাঁচলে তো ডিপ্রেশনে চলে যাব আমি। আর আমি ডিপ্রেশনে গেলে কেউ বাড়িতে এসে আমাকে ভাত দিয়ে যাবে না। আমাকেই পরিশ্রম করে খেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ভাবার সময় নেই। ভবিষ্যতে জীবন যদি আমার জন্য কিছু ভেবে থাকে, তাহলে নিশ্চয় হবে (সম্পর্ক)। আর না হলেও ক্ষতি নেই, আমার কাছে সম্পর্কটা আবশ্যক বিষয় নয়।’
মধুমিতাকে অনেকবার ট্রলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রলিং বিষয়টি আমাকে আরও বেশি স্ট্রং করেছে। আমি তাই ট্রলড হওয়া নিয়ে এখন আর ভাবিও না। কেননা, আমি শাড়ি পরে ছবি তুললে লোক দেখানো, আর সাহসী পোশাকে ছবি তুললে আমি নিলর্জ্জ। বাবা-ছেলে-গাধার গল্পটা এ ক্ষেত্রে আমি স্মরণ করে নিই। আসলে লোকের কথা শুনে নিজের লাইফস্টাইল বদলাতে হলে তাহলে তো বাঁচাই যাবে না। আমি সত্যি কেয়ার করি না। আমার পরিচিত সার্কেলে লোকজন আমাকে সম্মান দিলেই চলবে।’
মধুমিতা সরকার একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী। তিনি ‘বোঝে না সে বোঝে না’ টেলিভিশন ধারাবাহিকের পাখি ঘোষ এবং ‘কুসুম দোলা’য় ডক্টর ইমন মুখার্জির চরিত্রের জন্য পরিচিত। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ও সমালোচকদের সফল সিনেমা ‘চিনি’-এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।
প্রসঙ্গত, মধুমিতা ২০১৫ সালে নির্মাতা ও অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। এর পর ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস