খেলাধূলা ডেস্ক :
প্রথম টেস্ট জেতা বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে। হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩৪৯ রান তুলেছে কিউই শিবির। এ ম্যাচেই দেখা মিলল আজব এক ঘটনার। আলোচনায় জড়ো হওয়া বাংলাদেশ দলে দুই তাসকিন! অবাক হচ্ছেন? হওয়ারই কথা।
নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের এক পর্যায়ে টাইগার দলের কয়েক ক্রিকেটার কি নিয়ে যেন আলোচনায় মিলিত হন। সেখানে দেখা যায়, দুজন তাসকিনের উপস্থিতি! তাসকিন আহমেদ তো ছিলেনই, তারই জার্সি পরে শরিফুল ইসলামও আলোচনায় যুক্ত হয়েছিলেন অন্যদের সঙ্গে। এটা যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অসাবধানতার ফল তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।
ক্রাইস্টচার্চে রোববার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। টাইগার পেসারদের ওপর রীতিমতো ঝড় তুলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। টম লাথাম প্রথম দিন শেষে দ্বিশতকের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২৭৮ বলে ২৮ চারে তিনি করেছেন ১৮৬ রান। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার অপেক্ষায় দিন শেষ করেছেন কনওয়ে, শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে তিনি যোগ করেছেন ৯৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন প্রথম টেস্টের নায়ক এবাদত হোসেন। ২১ ওভারে ৫.৪০ ইকোনমিতে তিনি দিয়েছেন ১১৪ রান।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেটের ফায়দা নিতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। টাইগারদের বিপক্ষে বিনা উইকেটে প্রায় দেড়শ ছুঁইছুঁই স্কোর করে কিউই শিবির। প্রথম উইকেট হারানোর আগে নিউজিল্যান্ড করে ১৪৮ রান। এক উইকেট পেলেও প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের ছিল না তেমন কোনো ভয় ধরানো স্পেল। প্রথম টেস্টের জয়ের নায়ক এবাদতের কয়েকটি ওভার বাদ দিলে বেশ খরুচেই ছিলেন তিনি। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ১০ ওভারে ৩৩ রান দেন তাসকিন, ৯ ওভারে ২৭ রান শরিফুল আর ৬ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন এবাদত হোসেন।
চা বিরতির আগে এক উইকেটে নিউজিল্যান্ড পেরোয় দুইশ’র (২০২) ঘর। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লাথাম। শতক হাঁকাতে তিনি ১৩৩ বলে খেলেছেন ১৭টি চারের মার। যদিও সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকাবস্থায় টাইগার পেসার শরিফুল কিউই অধিনায়ককে তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শরিফুলের বাউন্সার ঠিকমতো খেলতে পারেননি লাথাম। যে কারণে বল ব্যাটে লেগে অনেকটা ওপরে উঠে যায়। বাংলাদেশি ফিল্ডাররা দৌড়ে গিয়েও তার নাগাল পায়নি। কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সেই শরিফুলই। কিউই ওপেনার উইল ইয়ংকে শিকারে পরিণত করেন তিনি। ইয়ং আউট হন ৫৪ রান করে। ১১৪ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার।