জাতীয় ডেস্ক :
নির্বাচনী প্রচারণার কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ফসলি জমি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই ফসলি জমিতে হেঁটেছেন তিনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক ভুক্তভোগী এক কৃষক।
ওই কৃষকের অভিযোগ, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় কাটখাল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় হেলিকপ্টার নিয়ে তার ফসলি জমিতে নামেন। এ সময় উৎসুক জনতা তাকে স্বাগত জানাতে ওই জমিতে গেলে সেখানে তার ৩৬ শতাংশ জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ কৃষক। তিনি নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কাটখাল ইউনিয়নের একটি ফসলি জমিতে ল্যান্ড করে বেসরকারি কোম্পানির এ হেলিকপ্টারটি। এ সময় তার কাছে ছুটে আসেন সমর্থকরা।
জানা গেছে, তাজুল ইসলাম কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মো. সাইদুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম আমার ৩৬ শতাংশ জমির ফসল নষ্ট করেছেন। আমি ক্ষতিপূরণ চাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী হেলিকপ্টারযোগে এলাকায় এলে এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। কাটখাল ইউনিয়নের ঘটনাটি নজরে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কাটখালসহ মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্বাচনে থাকছে না আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা।