আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লোহিত সাগরে ইসরাইলের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝ সাগরে জাহাজটির দিকে উড়ে আসে একটি সামরিক হেলিকপ্টার। তারপর সেটি থেকে জাহাজের ডেকের ওপর বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি নেমে আসেন এবং একে একে জাহাজের সব ক্রুকে আটক করে।
এক পর্যায়ে জাহাজটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর কয়েকটি দ্রুত গতির স্পিড বোট এস্কট করে সেটিকে নিয়ে যায়।
গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে হুতিদের জাহাজ জব্দের ঘটনায় পুরো অঞ্চলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থানে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। ২০১৫ সাল থেকে ইরানের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীটি সৌদি আরব ও তার মিত্র কয়েকটি দেশের সাথে যুদ্ধ করছে।
হুতি আন্দোলনের হাতে রয়েছে হাজার হাজার যোদ্ধা, বিপুল পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোন। হুতিরা উত্তর ইয়েমেন ও লোহিত সাগরের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করছে।
চলতি সপ্তাহে হুতি বিদ্রোহী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের যোদ্ধারা জায়নবাদী ইসরাইলের ওপর আরও হামলা চালাবে এবং তারা লোহিত সাগর ও বাবেল মান্দেব প্রণালীতে ইসরাইলের জাহাজ টার্গেট করবে। গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই হুমকি দেয় হুতিরা।
ওই হুঁশিয়ারির দুদিন পরই (১৯ নভেম্বর) লোহিত সাগরে ইসরাইলি কার্গো জাহাজ আটক করলো হুতি যোদ্ধারা।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, বাহামার পতাকাবাহী গ্যালাক্সি লিডার নামে কার্গো জাহাজটির আংশিক মালিকানা ইসরাইলি কোম্পানি রামি উঙ্গারের। একটি জাপানি কোম্পানি জাহাজটি পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিবেদন মতে, সম্প্রতি জাহাজটি তুরস্কের একটি বন্দর থেকে যাত্রা করে ভারতে যাচ্ছিল। পথে লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হাতে আটক হয়। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার ওপর নজর রাখছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাহাজটিতে ইউক্রেনীয়, বুলগেরীয়, ফিলিপিনো ও মেক্সিকানসহ বিভিন্ন দেশের ২৫ জন নাবিক রয়েছেন, তবে কোনো ইসরাইলি নেই।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং এটাকে ‘ইরানি সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।