অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই আসে না। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এটা হতে দেবো না।
শনিবার বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশাল বিভাগের শহিদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, খুনি হাসিনা সারাজীবন শুধু নিজের পরিবারের গান গাইতে গাইতে ক্ষমতাটাকে অষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছিলেন। যেখানে গেছেন সেখানেই তার পরিবার নিয়ে কান্নাকাটি করেছেন। তার পরিবারের ১৮ জন মানুষ, আর এই দুই হাজার জন মানুষ না? এদের খুন করার সময় তার বুকটা একটু কাঁপেনি। আজ আমার যে ভাই শহিদ হয়েছে, যে বোন শহিদ হয়েছে, সেই শহিদ পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোনকে আমরা কীভাবে সান্ত্বনা দেবো?
তিনি আরো বলেন, খুনি হাসিনা সারাজীবন ১৯৭৫ সালের গল্প বলে ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি দুই হাজার মানুষকে কীভাবে খুন করলেন? তিনি যদি দরদ বোঝেন তাহলে এ খুনগুলো কীভাবে করতে পারেন? যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম সামনে রেখে তিনি এই কাজগুলো করেছেন, এই বাংলাদেশে চলার তার কোনো অধিকারই নেই।
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সব ভুলে যাই, ঐ ১৬ বছর ভুলে গেছি, আমরা ঐ ৩৬ দিন ভুলে গেছি, এখন আমরা নতুন কিছু নিয়ে আছি। কিন্তু এই জবাব খুনি হাসিনাকে দিতে হবে, হাসিনার দোসরদের জবাব দিতে হবে। আর এই বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত একটি যৌক্তিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসনের কথা যারা বলে তারাও খুনি হাসিনার মতো ক্ষমতালোভী। এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হওয়ার প্রশ্নে একটা কথাই হওয়া উচিত- পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কারো সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও এটা করতে দেবো না।
সারজিস আরো বলেন, জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিকভাবে আমরা ৫ লাখ টাকা করে দিচ্ছি। এটা মাত্র শুরু, কেউ যেন মনে না করেই এটাই শেষ। তাদের যতদিন যা কিছু প্রয়োজন, সেই যৌক্তিক চাহিদা পূরণের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।