হোম অন্যান্যস্বাস্থ্য হার্টের রিংয়ের দাম নিয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্য সচিব

হার্টের রিংয়ের দাম নিয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্য সচিব

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 44 ভিউজ

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে হার্টের রিংয়ের দামের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়।

পরে স্বাস্থ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আজ ওষুধের দাম নিয়ে আমরা পুরোপুরি আলোচনা করতে পারিনি। সময়ের স্বল্পতা ছিল। তবে স্টেন্টের দাম নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে এই খাতের অংশীজনরা ছিলেন। আমরা বলেছি যে স্টেন্টের দামের বিষয়ে সরকার যেমন জনগণের স্বার্থ দেখছে, তেমনই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখবে।

‘ব্যবসায়ীরা আইনগতভাবে ব্যবসা করবেন, আবার যারা স্টেন্ট ব্যবহার করছেন, তাদের ওপর যাতে বাড়তি কোনো চাপ না পড়ে, অস্বাভাবিক দামে যাতে তাকে কিনতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

এ দুটো বিষয়ের সমন্বয় করে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, মূলত আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে এই পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে আমেরিকা থেকে আসা স্টেন্টের ব্যবহার ৭৫ শতাংশ। বাকিটা আসে ইউরোপ থেকে।

তিনি বলেন, ইউরোপের পণ্যের ডিস্ট্রিবিউটাররা আজকের বৈঠকে অংশ নেননি। তবে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলবো। আর দাম আগে যেটা ছিল, সেটাই আমরা রেখেছি। আর লাভ করতে গেলে একটা মার্কার প্রাইস দিতে হয়। তাদের প্রশাসনিক খরচ, ভ্যাট ও ট্যাক্স মিলিয়ে একটা মার্কার প্রাইস এক দশমিক দুই শতাংশ নির্ধারণ করা আছে।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, আমদানি মূল্যের সঙ্গে মার্কার প্রাইস যুক্ত করা আছে। কাজেই স্টেন্টের দাম আগে যা ছিল, সেটাই থাকবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম নির্ধারণ হয়েছিল। আমি মনে করি, এতে সরবরাহকারী ও ভোক্তা দুই পক্ষই এতে লাভবান হবে।

এরআগে, গত ডিসেম্বরে হার্টের রিংয়ের দাম সম্বনয় করে সরকার। তখন দাম কমিয়ে স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়।

সে সময় দেয়া নির্দেশনায়, হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের নির্দেশনাও দেয়া হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিংয়ের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে পৃথক ক্যাশমেমো দিতে বলা হয়। পাশাপাশি রোগীকে ব্যবহৃত হার্টের রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতেও বলা হয়।

প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন, রিংয়ের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, যে দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে, সে দেশের নাম ও ওই দেশের মূল্য উল্লেখ সংবলিত রিং যেন বিশেষজ্ঞরা ব্যবহার করেন, সে নির্দেশনাও দেয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন