আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সবার্ধুনিক প্রযুক্তি নিয়েও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অস্ত্রের কাছে অসহায় ইসরাইল। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকেই হামাস যোদ্ধাদের নিজস্ব প্রযুক্তির আরপিজির কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
রকেট হামলায় একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে দুর্ভেদ্য হিসেবে পরিচিত ইসরাইলের মারকাভা ট্যাংক। হাজার হাজার কোটি টাকার অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিমিষেই ধ্বংস করছে হামাসের মাত্র কয়েকশ ডলারের অস্ত্র।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। হামাস নির্মূলের নামে গাজায় স্থল অভিযানের ঘোষণা দিলেও এক পা সামনে ফেলে দুই পা পেছনে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। খুঁজে পাচ্ছেনা হামাস সদস্যদের।
স্থল অভিযানে গাজার আর্মাড ডিভিশনের রীতিমতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে হামাসের রকেট চালিত গ্রেনেড,আরপিজি। গোপন টানেল থেকে বেরিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই রকেট ছুঁড়েই হামাস যোদ্ধারা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাতে একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে ইসরাইলি ট্যাংক, সাজোয়াযান ও বুলডোজার।
ইসরাইলের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিভাগ আর্মাড ডিভিশনকে। ট্যাংক এবং দূরপাল্লার কামানসহ সাজোঁয়া এ যান আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর মধ্যে ইসরাইলকে সবচেয়ে শক্তিশালী করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র মারকাভা ট্যাঙ্ক। ডিফেন্স সিস্টেম, নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের কারণে বিধ্বংসী সমরাস্ত্রে পরিণত হয় এ ট্যাঙ্ক। কিন্তু গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে হামাসের কৌশলগত আক্রমণে রীতিমত নাকানিচুবানি খাচ্ছে এই ট্যাংক বহর।
অথচ সাধারণ একটি হেক্সাড্রোনে ঝোলানো হয় আরপিজি রকেট। এরপর উড়ন্ত ওই ড্রোন দিয়ে মারকাভা ট্যাঙ্কের ওপরে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে। আর তাতেই চুরমার ইসরাইলের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক। হামাসের মাত্র কয়েকশো ডলারে অস্ত্রের আঘাতে ৩৫ লাখ ডলারের মারকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত সস্তা এই ড্রোন নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। ফলে ইসরাইলের রাডারের নজরদারি এড়িয়ে হামাস যোদ্ধারা অনায়াসেই আঘাত হানতে পারে ট্যাঙ্কবহরের ওপর।
মূলত ভূগর্ভস্ত পাইপ দিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেট চালিত গ্রেনেড বা আরপিজি তৈরি করে হামাস। চিনি, পটাশিয়াম, নাইট্রেড সারসহ বাজারের সহজলভ্য বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি করা হয় এসব অস্ত্র। আরপিজি’র রয়েছে ট্যাঙ্কের আর্মাড ভেদ করার সক্ষমতা। মূলত এ জন্যই ইসরাইলি আর্মাড ডিভিশন ধ্বংসে বড় ধরনের সফলতা পাচ্ছে হামাস।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বখ্যাত মারকাভা ট্যাঙ্ক রুখতে হামাসের নয়া অস্ত্রের কারণেই তেল আবিব গণমাধ্যমে জোরেশোরে বুলি আওড়ালেও গাজায় পা ফেলছে ধীরে।