আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (৭ মে) বিকেল থেকে দেশজুড়ে ২৪৪টি জেলায় একটি জাতীয় পর্যায়ে সিভিল ডিফেন্স ‘মক ড্রিল’ পরিচালনা করছে। মূলত যুদ্ধ-পরিস্থিতি বা আক্রমণ থেকে বাঁচতে নাগরিকদের প্রস্তুত করার জন্য এই আয়োজন।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত সশস্ত্র হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় গত মধ্যরাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে বিমান হামলা চালায়।
এই অভিযানে ভারত পাকিস্তানের নয়টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তান এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বৃহৎ যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রশিক্ষণ শুরু করল ভারত। সেই সঙ্গে এয়ার রেইড সাইরেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যকারিতাও পরীক্ষা করা হবে।
হিন্দুস্তান টাইমের প্রতিবেদন অনুসারে, নাগরিকদের, বিশেষ করে ছাত্রদের জরুরি পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্যামোফ্লেজ (গোপনীয়তা) এবং জরুরি অবস্থায় স্থানান্তর পরিকল্পনার রিহার্সালও করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, আজ বুধবার বিকেলে দিল্লির কর্তৃপক্ষ শহরের ৫৫টি স্থানে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি বিমান হামলা, অগ্নিকাণ্ড এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের মতো বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতির অনুকরণে আয়োজন করা হবে।
দিল্লির শিক্ষা অধিদপ্তর সমস্ত স্কুল প্রধানদের দুর্যোগ মোকাবেলার বিষয়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলগুলোকে সঠিক ‘মক ড্রিল’ পরিচালনায় সহায়তা করতে একটি ‘প্রদর্শনী ভিডিও’ শেয়ার করা হয়েছে।