জাতীয় ডেস্ক :
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, পুলিশের হাতে স্বেচ্ছায় ধরা দেয়া ছিনতাইকারী আরিফ হত্যা মামলার আসামি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
হাফিজ আক্তার বলেন, অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারের পর মাকে ফোন দেয় আরিফ। অভয় দিয়ে মাকে আরিফ বলেন, মূল মামলায় নয়; গ্রেফতার করা হয়েছে আগের একটি মামলায়। এতেই সন্দেহ হয় তদন্ত কর্মকর্তাদের। রিমান্ডে নিলে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ফালু মিয়া নামে এক ব্যক্তি হত্যার দায়ও স্বীকার করে আরিফ।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় পুলিশের হাতে ধরা দেয়া এ ছিনতাইকারীর ফোনের কথায় সন্দেহ হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের। রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। শুধু ছিনতাই নয়, হত্যার সাথেও জড়িত ছিল যাত্রাবাড়ির ছিনতাইকারী দলের সদস্য আরিফ। হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে অপরাধী নিজেই ধরা দেয় পুলিশের হাতে। আর এ মামলাটিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই স্বেচ্ছায় ধরা দেয় এ অপরাধী।
হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি গাইবান্ধা থেকে ভোর ৫টায় ঢাকা আসেন নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী ফালু মিয়া। বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা না করেই রওনা দেন গন্তব্যের উদ্দেশে। এদিকে গোলাপবাগ ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ওঁৎ পেতে থাকে যাত্রাবাড়ির ছিনতাইকারী দলের সদস্য আরিফ ও তার আরেক সহযোগী সোহেল। ফালু মিয়া সেখানে পৌঁছাতেই তার ওপর হামলা করে তারা। প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাকে হত্যা করেই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরদিনই ছিনতাইয়ের একটি মামলায় আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তখনও উন্মোচিত হয়নি ফালু হত্যার রহস্য। গ্রেফতারের পর আরিফের ফোনে কথা বলার সূত্র ধরে তাকে চিহ্নিত করা হয়।
আরিফের সহযোগী সোহেলকে খুঁজতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
