হোম অন্যান্যসারাদেশ সড়কে কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা অর্ধাহারে-অনাহারে

সড়কে কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা অর্ধাহারে-অনাহারে

কর্তৃক
০ মন্তব্য 131 ভিউজ

তপন চক্রবর্তী :

আমিনুর শেখ। বয়স (৩৮)। সড়কে কাজ করে যার সংসার চলতো, তিনি এখন বসে বেকার সময় পার করছেন। সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তার। পাঁচ জনের সংসারে খেয়ে না খেয়ে দিন কাঁটালেও খোঁজ রাখেনি কেউ।

আমিনুর শেখের বাড়ি তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। স্বামী-স্ত্রী আর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার সংসার। সড়কে কাজ করে চলতো তার সংসার।

আমিনুরের ভাষ্যমতে, তিনি সড়কের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু কাজ বন্ধ হওয়ায় পাঁচ জনের সংসার চালাতে তার রীতিমত হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে। কোনো বেলা ভাত জুটছে, কোনো জুটছে না। এভাবেই চলছে তার সংসার। এমন অবস্থা সড়কের কাজে নিয়োজিত থাকা অধিকাংশ শ্রমিকের।

বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি সড়কের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) দপ্তর। এতে বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে।

সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর (এলজিইডি) দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ শতাধিক তালিকা ভুক্ত ঠিকাদার রয়েছে। বর্তমান কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই শতাধিক প্যাকেজের কাজ চলমান। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলো সকল কাজ বন্ধ রেখেছে। এতেই বিপাকে পড়েছে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা।

তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের শ্রমিক সরদার তেঁতুলিয়া গ্রামের সবুর শেখ জানান, তার অধীনে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রাখায় সকলে বাড়িতে বেকার সময় পার করছেন। অথচ সরকারি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে শ্রমিকরা হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন। তবে বর্তমানে তারা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করলেও শ্রমিকের খোঁজ কেউ রাখে না। কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে শ্রমিকরা বলে জানান তিনি।

তালা উপজেলার ভায়ড়া গ্রামের খোয়া ভাঙ্গা সরদার শফিকুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রাখায় তাদেরও কোনো কাজ হচ্ছে না। এজন্য তার শ্রমিকরাও বসে বেকার সময় পার করছেন।

তালার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নিখিল ব্যানার্জী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। প্রশাসন তিন জন মানুষকে এক জায়গায় থাকতে দিচ্ছে না। যে কারণে কোনো শ্রমিক কাজ করছে না।

সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র সরকার জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ কাজ করছে না। জনসমাগম এড়াতে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রেখেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন