নড়াইল অফিস:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্ত জা। তিনি আবারো নড়াইলের ২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
নড়াইলের এই কৃতি সন্তান পায়ের সমস্যার কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষে পদ্মা এবং মধুমতি সেতু পাড়ি দিয়ে সড়ক পথে নড়াইলে আসেন। রোববার(২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তার নড়াইলে পৌছানোর কথা ছিল। কিন্তু নড়াইল শহরে পৌছানোর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধান্জলীসহ কবর জিয়ারত করেন। পরে ঢাকা-কোলকাতা ভায়া নড়াইল সড়কের নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বক্তব্য দেন। এ সময় জনতার ঢল নামে। রাস্তার দুধারে হাজার হাজার মানুষ মাশরাফিকে স্বাগত জানাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় ছিল। মহাসড়কে দেখা দেয় ব্যাপক যানজট । পুলিশের পাশাপাশি যানজট নিরসনে এক পর্যায়ে মাশরাফি নিজেই ট্রফিকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। মাশরাফির আগমনে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। লোহাগড়া থেকে নড়াইল শহরের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। এই সড়ক অতিক্রম করতে মাশরাফির প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
নড়াইলে পৌছে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তভে শ্রদ্ধান্জলী প্রদান করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন । মহাসড়ক সংলগ্ন পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,আমি আপনাদেরই সন্তান। বিগত দিনে যেমন আপনারা আমাকে ভালোবেসে নৌকায় ভোট দিয়েছেন,এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সুযোগ করে দিয়েছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার কাজে তুষ্ট হয়ে আবারো নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। লোহাগড়ার আলামুন্সির মোড়, সিএনবি চৌরাস্তা, লোহাগড়া উপজেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে, এড়েন্দা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পথসভায় অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে এলাকাবাসীর তাকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন।
এ সময় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মুন্সি, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল আমির রোমসহ হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।