রাজনীতি ডেস্ক:
জাসদ যুবজোটের হামলায় আহত পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় প্রামাণিকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ভেড়ামারা উপজেলা। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছোট ভাই সম্পদ প্রামাণিক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে সঞ্জয় প্রামাণিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কুষ্টিয়া-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মন্দির কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভেড়ামারা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় প্রামাণিকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দেয়া হয়। এ ছাড়া তার পায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করারও অভিযোগ ওঠে। হামলায় সঞ্জয়ের সঙ্গে থাকা বেলাল ও শ্যামল নামে আরও দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী আহত হন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট ) দুপুরে সঞ্জয়ের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওইদিনই তার স্ত্রী বীথি রানী বাদী হয়ে জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় শোভনকে ওইদিন রাতেই আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
