রায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শত্রুতার জেরে যুবদলনেতা মাহবুব আলমকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হাসমতের বিরুদ্ধে। হাতেনাতে অস্ত্রসহ ঘটনাস্থল থেকে নারী পুরুষসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার সিংড়াটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনপির একদল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত মাহবুব আলমের স্ত্রী সাহিদা আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কত বড় ডাকাইত, দিনে-দুপুরবেলা পিডায়। আমার স্বামী রোজা রাখছে, আর মাইরেন না আপনারা। মাফ কইরা দেন। এগো মতো ডাকাইত এ পৃথিবীতে আর কেউ হইব না। ধইরা আইনা বাড়িতে কোপাইয়া মাইরা ফালাইছে। জীবন ভিক্ষা চাইলাম দিল না।’
নিহত মাহবুব আলমের বড় ভাই মহিবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকেবলেন, ‘মাহবুব বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত দেখে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হাসমতের বাহিনী হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। সেই ঘটনা আজকে ঘটায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসমত, তার চাচতো ভাই আলামিন, হান্নান, কিসমত, অনিকসহ আর সাত থেকে আট জন। কালিবাড়ি বাজার থেকে তাকে মারতে মারতে হাসমতের নিজ বাসায় এনে বাড়ির কলাপসিবল গেট আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপ্যাথালি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।‘
মাহবুব আলম রোজা, আর মাইরেন না বলে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাদের সামনে হত্যাকারীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানান নিহতের পরিবার।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন দর্শন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় আজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মাহবুব বিএনপির রাজনীতি করায় তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এই হত্যার দ্রুত বিচার চাই।‘ এ সময় তিনি মাহবুবের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোরও আশ্বাস দেন।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হাসমত মাহমুদকে সিএনজিতে উঠিয়ে বাড়িতে এনে মারধর করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে—এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আরো কেউ জড়িত কি না তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।