হোম অন্যান্যসারাদেশ স্ত্রী হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদন্ড
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাত হাজার টাকা যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় নির্যাতন শেষে স্ত্রী হাফসা খাতুন (২০), কে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে লাশ গুমের চেষ্টার মামলায় স্বামী ছোটন মিয়া (২২), কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যাল- ১ এর বিচারক কিরণ শঙ্কর হালদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় প্রধান আসামি ছোটন মিয়ার বাপ- চাচা ও ভাইদের বে- কসুর খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ঘাটুয়া পশ্চিম পাড়া আবদুর রহমানের ছেলে। কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালে পূর্বঘাটুয়া গ্রামের মোঃ আবদুলের মেয়ে হাফসা খাতুনের বিয়ে হয় পশ্চিমঘাটুয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ছোটনের সাথে। বিয়ের সময় নগদ ৬ হাজার টাকা যৌতুক ও বিভিন্ন উপহার দেয়া হয়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় নতুন করে ৭ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে ছোটন মিয়া। দাবি পূরণ করতে না পারায় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্ত্রী হাফসার একটি পা ভেঙে দিয়ে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠায় ছোটন।
ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে স্ত্রী হাফসাকে আবার নিয়ে আসেন ছোটন। বোনের খোঁজ- খবর নিতে ছোটনদের বাড়ি যান হাফসার বড় ভাই তামজিদ। সে সময় ছোটন মিয়ার বাবা আবদুর রহমান জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে হাফসাকে ছোটনের বোনের বাড়িতে রেখে এসেছে। পরে সেখানে খোঁজ নিয়েও হাফসাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে সন্দেহ হয় তাকে খুন করা হতে পারে।
২০০৫ সালের ২৯ মে ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের বরশী কড়া গ্রামের বালুচর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হাফসা খাতুন বলে  এ লাশটির পরিচয় সনাক্ত করে স্বজনরা। আর এ ঘটনায় হাফসার বড় ভাই মোঃ তমজিদ বাদি হয়ে ছোটন মিয়া, তার দুই ভাই ইসলাম উদ্দিন ও রোকন উদ্দিন, বাবা আবদুর রহমান,  চাচা আবদুল মান্নাফ ও কুসুম উদ্দিনকে আসামি করে ইটনা থানায় মামলা রুজু করেন। মামলা তদন্তকালে আসামি আবদুর রহমান মারা যান। একই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আলীমুজ্জামান।
s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন