জাতীয় ডেস্ক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনকে গেস্ট হাউজ বানিয়ে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিষয়টি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে এলে তিনি স্কুল ভবনে গিয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
অভিযোগে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেরাই ৫০ হাজার টাকা করে শেয়ার নির্ধারণ করে শ্রেণিকক্ষকে গেস্ট হাউজে রূপান্তরিত করেন। নাম দিয়েছেন ‘কুয়াকাটা বি বি গেস্ট হাউস’। এখান থেকে আদায় করা ভাড়া শেয়ার মোতাবেক ভাগ করে নেন তারা।
রোববার (৯ জুলাই) রাতে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাওছার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) নিজ আইডি থেকে বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। আর এ থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জান যায়, গত কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটিকে গেস্ট হাউজ বানিয়ে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়া হতো। আর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটায় পর্যটক উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ভাড়াও হতো নিয়মিত।
তবে এই গেস্ট হাউজ তৈরির অর্থ কোথা থেকে এসেছে, ভাড়া কোথায় যাচ্ছে কিংবা কে কী খাতে ব্যয় করছেন এর সঠিক কোনো হিসাব নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘মূলত বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তা কুয়াকাটায় আসেন, তাদের জন্য অনেক সময় রুম পাওয়া যায় না। সে কারণে মূলত গেস্ট হাউজ হিসেবে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনও সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেয়া হয় না।’
তিনি দাবি করেন, বিদ্যালয়টির মোট চারটি কক্ষকে গেস্ট হাউজ বানানো হয়েছে; যার দুটি কক্ষে দুজন শিক্ষক নিয়মিত থাকছেন এবং দুটি কক্ষে অতিথিরা আসলে তারা থাকেন। তবে একটি বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ করার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কোন অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ করার কোনো সুযোগ নেই। এমনটি হয়ে থাকলে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি সোমবার জানতে পেরেছি। স্কুলটির একটি ভবন তালাদদ্ধ করা হয়েছে।