হোম আন্তর্জাতিক সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও ইসরায়েলি বোমা অপেক্ষা করছে: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও ইসরায়েলি বোমা অপেক্ষা করছে: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 41 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান মোহসেন রেজাই সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি ‘সামরিক জোট’ গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি বিশেষ ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলনে এই ধরনের আগ্রাসনের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘যদি শীর্ষ সম্মেলন পাঁচটি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের আগ্রাসন এবং গাজায় গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় বাস্তব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরাকের সরকারেরও যুদ্ধবিমান এবং বোমা হামলার আশা করা উচিত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই এর মোকাবেলা করার জন্য একটি সামরিক জোট গঠন করতে হবে।’ আইআরজিসির সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইয়ের উপদেষ্টা এক্সপিডিয়েন্সি ডিসকার্নমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য।

তার এই মন্তব্য ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ-এর একটি মতামত নিবন্ধের পর এসেছে। ওই নিবন্ধে সতর্ক করে বলা হয়েছিল যে, পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে কাতারের ওপর সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর, ইসরায়েল তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপের ‘বিপর্যয়কর’ পরিণতি হতে পারে এবং বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, আঙ্কারার সঙ্গে কোনো সংঘর্ষে জড়ানো দোহা’র ওপর হামলার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক হবে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে যে, তেল আবিব পূর্বে ‘ন্যাটোর কারণে’ তুরস্কের মাটিতে একই ধরনের অভিযান পরিচালনা স্থগিত করে এবং এর পরিবর্তে কাতারকে বিকল্প লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয়।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানিও রেজাইয়ের মতোই একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শাসনের উন্মাদনা বন্ধ করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একটি যৌথ অভিযান সদর দফতর গঠন করতে হবে।’

সূত্র: প্রেস টিভি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন