জাতীয় ডেস্ক:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহারের পর সেগুলো যত্রতত্র ফেলে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে সেগুলো সাগরে মিশে গিয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণ করছে। এ কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি মানবদেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। তাই রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্যে সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ সময় সৈকত থেকে ৩০ বস্তা প্লাস্টিক সরানো হয়।
জানা গেছে, পাথুরে সৈকত ইনানী; প্রতিদিনই এই সৈকতে ভিড় করে ভ্রমণপিপাসুরা। কিন্তু সৈকতে এসে ভ্রমণপিপাসুরা হয়ে পড়ছেন অসচেতন। যত্রতত্র বালিয়াড়িতে ফেলছেন পলিথিন, চিপস কিংবা চনাচুরের প্যাকেট, প্লাস্টিকের পানির বোতল; যা পরবর্তীতে সাগরে মিশে গিয়ে দূষণ করছে পরিবেশ-প্রতিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইনানী সৈকতের বালিয়াড়িতে টাঙানো হয়েছে পোস্টার। এসব পোস্টারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা। প্লাস্টিকের কারণে হুমকির মুখে সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের দৃশ্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোববার দুপুরে ইনানী সৈকতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। এই পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেন কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে সৈকতের বালিয়াড়িতে করা হয় ভিন্ন এক প্রদর্শনী। এরপর ৩ ঘণ্টাব্যাপি পরিষ্কার করা হয় কয়েক কিলোমিটার সৈকতের বালিয়াড়ি। প্লাস্টিক দূষণ রোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক পরিবেশ ও জলবায়ু বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্যের হাত থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা এবং এসব বর্জ্য কীভাবে সাগর ও নদ-নদীর জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে, তা তুলে ধরতে কক্সবাজারে সৈকতে দূষণের কারণ ও প্রভাব বিষয়ক জনসচেতনতা কার্যক্রম এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
কক্সবাজারে সৈকতে প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহারের পর সেগুলো যত্রতত্র ফেলে দেয়া হয়। এর ফলে সেগুলো সাগরে মিশে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণ করছে। এ কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি মানবদেহেও ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্যে আজকের এই কার্যক্রম বলে জানান ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া।
কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকতে ৩ ঘণ্টাব্যাপি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে সরানো হয়েছে ৩০ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য। এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ নেন।