হোম অন্যান্যসারাদেশ সৈকতে ভেসে আসা মাছটি ডলফিন না তিমি?

সৈকতে ভেসে আসা মাছটি ডলফিন না তিমি?

কর্তৃক
০ মন্তব্য 382 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকতে একটি বৃহদাকার মাছ পাওয়া গেছে। কোনও নড়াচড়া না থাকায় সেটিকে মৃত বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জেলেরা। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি ডলফিন। তবে স্থানীয়রা বলাবলি করছেন, এটি তিমির বাচ্চা হতে পারে। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, পরীক্ষার পর তারা মাছটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।

সোমবার (২২ জুন) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সমুদ্রে এই মাছটি দেখে লোকজন ভিড় করেন। এটিকে ‘হাম্পব্যাক’ প্রজাতির ডলফিন বলছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ৩ ও ৪ এপ্রিল টেকনাফ উপকূলে ভেসে আসে অন্তত দুটি ডলফিনের মৃতদেহ।

সর্বশেষ ভেসে আসা মাছটির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. এহসানুল করিম বলেন, ‘এটি ইন্দো-প্যাসিফিক বোতল নাক (হাম্পব্যাক) ডলফিন নামে পরিচিত। এই প্রজাতিগুলো দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সন্ধানে দলছুট হয়ে ডলফিন মাছটি টেকনাফের কাছাকাছি এসেছে এবং আঘাত পেয়ে মারা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘৯-১০ ফুট দীর্ঘ এই মাছটির ওজন ১৬০ কেজি হতে পারে। মূলত এই মাছগুলো ভারত এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রান্তীয় জলে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ সাধারণ বোতলজাতীয় ডলফিনের বিপরীতে এই ডলফিনগুলো অগভীর, উপকূলীয় জল পছন্দ করে। ফলে এ মাছ আশপাশের অঞ্চলে দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরিবেশবাদীরা জানান, ডলফিন খাবারের জন্য মাছের পালের পেছনে থাকে। জেলেরাও বিষয়টা জানেন। মাছ ধরার জন্য জেলেরা সাগরের ডলফিনের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এ সময় জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যায়।’

মাছটি দেখতে অনেকটা তিমির মতো। এটি তিমি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে ড. এহসানুল করিম জানান, ‘এটি সম্ভবত ডলফিনই। এই এলাকায় তিমি খুব একটা দেখা যায় না। ২০০৯ সালে এই উপকূলে সর্বশেষ তিমি দেখা গেছে। দলছুট হয়ে তিমি চলে এসেছিল তখন। এরপর ২০১৭ সালে একবার তিমি প্রজাতির মাছ দেখা যায় এই এলাকায়। তবে এটি তিমিই কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরও ভালো করে খোঁজ নিতে হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন