অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ নিহত হওয়ার ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ২০ জনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ফাঁড়ির পুরো টিমকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
রোববার বিকালে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে পুরো নতুন টিম দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন এবং সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (৩৬) নিহত হন। তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত।