খেলাধূলা ডেস্ক :
চতুর্দিকে অনায়াসে শট খেলার সামর্থ্যের কথা যদি বলা হয়, তবে প্রথমেই আসবে সূর্যকুমার যাদবের কথা। মুহূর্তেই বোলারদের বোকা বানাতে পারেন তিনি। কেউ কেউ তো তাকে মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি বলেও ডাকেন। এমন একজনের প্রশংসা না করে পারা যায়? পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংও।
সূর্য কখনও ফাইন লেগের ওপর, কখনও পয়েন্ট তো কখনও উইকেটকিপারের ওপর দিয়ে মারকাটারি শট খেলেন। গত বছর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাণ্ডবলীলা করে সূর্য হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। সূর্যের ব্যাটিংয়ে বিমোহিত অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং।
আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলছেন, ‘আমার মনে হয় উদ্ভাবনী ও নৈপুণ্যের বিচারে সূর্যকুমারের চেয়ে ভালো প্লেয়ার আমি দেখিনি। কেউ একজন গত বছর আইপিএলের সময় বলেছিলেন, কিছু খেলোয়াড় সেটাই করার চেষ্টা করবে, যেটা সূর্যকুমার করছে। সেটা খেলার জন্য দারুণ হবে। সূর্যকুমার যা করছে, সম্ভবত এমনটা এর আগে কেউ করেনি।’
এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩৬০ ডিগ্রি নামে পরিচিত। সূর্যও এই তকমা বাগাচ্ছেন বলে! তার এই চর্তুদিকে শট খেলতে পারার সামর্থ্য নিয়ে পন্টিং বলেন, ‘আমরা ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলি। সূর্যকুমার উইকেটকিপার পিছন দিয়ে ও ফাইন লেগ দিয়ে যেসব শট মারছে, তা এক কথায় অসাধারণ। পাঁচ-ছয় বছর আগে ও সব উদ্ভাবনী শট মারা চালু করেছিল আইপিএলে। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার এবং ফাইন লেগের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত ফ্লিক করে। সূর্য এখন শর্ট বল তুলে খেলে, ফ্লিক করে। উইকেটকিপারের মাথায় ওপর দিয়ে চার-ছয় হাঁকায়।’
প্রসঙ্গত, গত বছর টি-টোয়েন্টিতে ৩১ ম্যাচে এক হাজার ১৬৪ রান করেছিলেন সূর্যকুমার। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৭.৪৩। ৬৮টি ছয়ও হাঁকান তিনি। চলতি বছর সূর্য মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরিতে তার ২১৭ রান হয়েছে।