আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই পরিবর্তনের আভাস মিলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের। এবার সেই রেশ ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতি টানা নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
রোববার (১০ নভেম্বর) তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি শক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি স্পষ্ট বোঝাপাড়া ছাড়া কূটনৈতিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। শুধু অস্ত্র দিয়েই কাজ হবে না। এজন্য শক্তি এবং কূটনৈতিক তৎপরতা এক সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, এটাই একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ। এর ফলে কিয়েভের বিরুদ্ধে মস্কো আবারও যুদ্ধ জড়াতে পারবে না।
ন্যায্যভাবে এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের দুয়ার সব সময় ‘আদর্শিক কূটনীতির’ জন্য উন্মুক্ত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পরই গতকাল রোববার রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে জোর দিয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এই যুদ্ধ একদিনের মধ্যেই শেষ করে দিতে পারবেন। যদিও সেটি তিনি কীভাবে করবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলেননি।
গত বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্প যুদ্ধের পরিসর না বাড়াতে পুতিনকে পরামর্শ দেন। একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পুরোপুরি অভিযান শুরু করে। এতে ইউক্রেনের বড় বড় শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
সূত্র: রয়টার্স