হোম অন্যান্যসারাদেশ সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় সবধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধের দাবি

সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় সবধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধের দাবি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 395 ভিউজ

সুন্দরবন – সংলগ্ন এলাকায় সবধরনের শিল্পায়ন বন্ধ করার জোরদাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

 

শনিবার (২১নভেম্বর২০২০) সকাল ১০ টায় খুলনা নগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেনে আয়োজিত ‘সুন্দরবন-সংলগ্ন অঞ্চলে শিল্পায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশকর্মজোট (ক্লিন) এবং সেন্টারফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেট রিরিসার্চ (সিইপিআর)- এরউদ্যোগে নাগরিক সংলাপটি আয়োজিত হয়।

 

সিইপিআর-এর চেয়ার পারসন গৌরাঙ্গ নন্দীর সভাপতিত্বে সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। সংলাপের শুরুতে সুন্দরবন-সংলগ্ন অঞ্চলে শিল্পায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার বিষয়কমূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকরেন ক্লিন-এরপ্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী।

 

মূল প্রবন্ধে হাসান মেহেদী বলেন, সুন্দরবন এবং এর সংলগ্ন প্রকৃতিগত ভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) সর্বমোট ১ শ ৯০ টি বিভিন্ন আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এরমধ্যে ৩২ টি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বা লাল শ্রেণীভূক্ত।এই অবস্থায় তিনি সুন্দরবনের-সংলগ্ন ইসিএ এলাকায় অবস্থিত সবধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের জোর দাবি জানান।

 

সংলাপে সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনের আশেপাশে শিল্পায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো মংলা সমুদ্রবন্দর।এই বন্দরের কারণেই সবধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়েউঠেছে। তিনিবলেন, সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আজকেযেক্ষয়ক্ষতি গুলোদেখা যাচ্ছে এর সবকিছুরই গোড়াপত্তন মংলাবন্দর হওয়ার পর থেকে।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপকুমার দত্ত বলেন, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত মুনাফা ভিত্তিক কার্যক্রমের ফলে সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশর ক্ষার জন্য তিনি পরিবেশ বান্ধব ও সচেতনতামূলক সংস্কৃতির চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ৮৭ টি অধ্যাদেশ, আইন এবং নীতিমালা সরাসরি সুন্দরবনের ও পর প্রভাব ফেলে।সুতরাং সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য আমাদের সবনীতি মালারস মন্বয়অতি জরুরি।তিনি এ অঞ্চলের ভূমিব্যবহার ও দূষণনিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিত মনিটরিং-এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

 

একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন সুন্দরবন রক্ষার জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম হাতে নেয়ার আহ্বানজানান এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক দলের পরিবেশ বিষয়ক কমিটি সক্রিয় করার উপর জোরদেন।

 

সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দী আইন প্রণেতা, গবেষক ও পরিবেশ অধিকারকর্মীদের সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণেরদা বিজানান সুন্দরবনের প্রকৃতিগত ভাবে সংকটাপন্ন এলাকার প্রবেশ স্থলেসচেতন তামূলক সাইনবোর্ড স্থাপনের দাবি জানিয়ে তিনি সংলাপের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

নাগরিক সংলাপে আরও অংশনেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয়ক মিটি’র সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র’র সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির ববি, বাংলাদেশ পরিবেশ আইন জীবীসমিতি’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমানমুকুল, ইনিশিয়েটিভ ফররাইটভিউ’র সমন্বয়কারী জাভেদ খালিদ পাশা জয়, মংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান শেখনূর আলম, রামপাল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএস বুররানা, সুন্দরবন অঞ্চলেশিল্পায়নের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শাহারুন্নেছা বেগম প্রমুখ।

সংবাদবিজ্ঞপ্তি:

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন