মোংলা প্রতিনিধি:
শুধুমাত্র সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্তের/খুলে দেয়ার দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর শহরের ফেরিঘাট সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ মানববন্ধন করেছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা। এ মানববন্ধনে সুন্দরবন নির্ভরশীল পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত মোংলার ৫টি সংগঠনের প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, মোংলা বন্দর শহরের সন্নিকটে অবস্থিত ডে ভিজিটর সেন্টার সুন্দরবনের করমজলকে চলমান তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার আওতার বাহিরে রাখা হোক। কারণ করমজলে পর্যটন যাওয়া-আসা করলে তাতে বনের জীববৈচিত্র্য তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তারা বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই, একই সাথে এই সিদ্ধান্তকে পুনঃবিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে গড়ে ওঠা শত শত পর্যটন ব্যবাসয়ী-কর্মচারীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা আরো বলেন, বনবিভাগের চলা এ নিষেধাজ্ঞাকালীন বনজীবিরা সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা পেলেও আমরা তার কিছুই পাইনা। সুতরাং আমাদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন নেই, আমাদের দাবী শুধুমাত্র করমজল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হোক। তাহলেই আমরা পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবো। অন্যথায় আমাদের পরিবারপরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে।
এ মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি মোঃ নূর আলম শেখ, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর তানজির হোসেন রুবেল, এনামুল হুদা বুলবুল, শামস রুবেল, পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাবেক কাউন্সিলর এম, এ কাদের, মাঝিমাল্লা ইউনিয়ন নেতা দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সোহাগ, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ এমদাদুল হাওলাদার ও মোঃ মিজানুর রহমান।
এ মানববন্ধন শেষে শুধুমাত্র সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমির মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাবর স্মারক লিপি প্রদাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বনবিভাগ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১লা জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সুন্দরবনে নদী খালে মাছ ও বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ এবং প্রজনন নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনে পর্যটন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবন নির্ভরশীল ট্যুর অপারেটরেরা। ট্যুর অপারেটরদের দাবী এ নিষেধাজ্ঞা বলৎ থাকুক, কিন্তু শুধুমাত্র করমজল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হোক।