জাতীয় ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে ‘পানসী’ রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইনসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে পুলিশ তাদের সরিয়ে নেয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশ লাইনসে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ওরা এখন নিরাপদে আছে। পুলিশ লাইনসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে থাকবে। সুবিধা মতো সময় ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে দোকান থেকে আরও খাবার কিনে খাওয়ার জন্য তাদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও বলেছেন জেলা প্রশাসক।
গত ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে যান। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে শহরের ‘পানসী’ রেস্তোরাঁয় তারা আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন।
পরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চাই। তারা সংবাদমাধ্যমের কাছে উদ্ধারের জন্য আর্জি করে জানান, তারা সেখানে খাবার, সুপেয় পানির সংকটে আছে, শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মিলিয়ে আমরা খুব দুরাবস্থার মধ্যে আছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহের অনুরোধ জানান।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে কয়েক লাখ মানুষ। পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর দুটি ও কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সারি নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমেই বাড়ছে বলে পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
