কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সুদের টাকা দিতে না পারায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহ কর্তীকে কুপ্রস্তাব ও হুমকি দেয়া হয়। যার ফলে ভয়ে স্বামী- সন্তান নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতের চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী সুবীর চন্দ্র বিশ্বাস কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কুলিয়ারচর থানার এস.আই কাজী রাকিব জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
সুবীর চন্দ্র বিশ্বাস জানায়, ফরিদপুর ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৪৫) এর কাছ থেকে গত এক বছর আগে ৪০ হাজার টাকা সুদের ভিত্তিতে ধার নিয়েছি। নিয়মিত সুদ দিয়ে আসছি। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে ছেলের অসুস্থার কারণে দুই মাস সুদ দিতে পারিনি। এরপর থেকে ইদ্রিস মিয়া এসে জানায়, আমরা নাকি বাড়ি বন্ধকী দিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছি।
টাকা না দিলে বাড়ি দখল করে নিয়ে যাবে। এর পর থেকে প্রায় সময় আমার অনুপস্থিতে আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে বলে, রাজি হলে টাকা দিতে হবে না, যখন ইচ্ছে দিলে হবে। কোনো রকম চাপ দিবো না।
এ সব কু-প্রস্তাবে আমার স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তার হুমকি ধামকি আরও তীব্র হয়। একপর্যায়ে বাড়ির উঠোনে কলা গাছ লাগিয়ে বাড়ি দখল করে নেয়। ঘটনার পর থেকে আমরা ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এই বিষয়ে ইদ্রিস মিয়া ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি এ- সব বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ টাকা ধার নিয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সহ সুবীরের সাক্ষর করা দলিল রয়েছে।
কলাগাছ লাগিয়ে বাড়ি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে ইদ্রিস মিয়া বলেন, এটা সম্পর্কেও আমি কিছু জানি না। আমার স্ত্রী জহুরা গাছ লাগিয়েছে। লেনদেনের দুইজন সাক্ষী মোঃ বাচ্চু মিয়া ও রতন চন্দ্র দাস বলেন, সুবীর টাকা নিয়েছে শুনেছি কিন্তু কতো টাকা নিয়েছে আমরা দেখিনি। আমাদেরকে সাক্ষর দিতে বলেছে আমরা সাক্ষর দিয়েছি।