আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আট কর্মীসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক। আল-জাজিরা, বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলেসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছে ঘটনাটি।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমিশিম খাচ্ছে দেশটির (বাংলাদেশ) দমকল বাহিনী। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। এতে দগ্ধ ও নিহতদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের একটি বন্দর শহরের কাছে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। এতে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক কেমিক্যালে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দিয়েছে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।