জাতীয় ডেস্ক:
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে। বুধবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। যার জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছে ইভিএম মেশিন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সিলেট উপশহরের জালালাবাদ গ্যাস ফিল্ডের মোড়ে দেখা যায় অসংখ্য পিক আপ ভ্যান। যেগুলোতে করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইভিএম মেশিন।
সব ওয়ার্ডে এবারই প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে মানুষজনকে অবহিত করা হয়েছে। যাতে তারা সঠিক নিয়মে ভোট দিতে পারেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনে সাবেক ২৭টিসহ বর্তমান ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭ টি ও অস্থায়ী থাকবে ৯৫টি।
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। এরইমধ্যে নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এছাড়া দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এর মধ্যে জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণায় সরব নন। অন্যদের প্রচারণা নেই বললেই চলে। ভোটের মাঠে এখন বেশ সরব আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুল। এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।