হোম ফিচার সিসিক নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ক্বীন ব্রিজ

রাজনীতি ডেস্ক:

সিলেটের সুরমা নদীর ওপর স্থাপিত ব্রিটিশ ঐতিহ্যের নিদর্শন ক্বীন ব্রিজ পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণ হলেও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছে এ ব্রিজ। সিসিক নির্বাচনকে উপস্থাপন করতে এ ব্রিজের তথ্যচিত্রই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) সরেজমিন ক্বীন ব্রিজ ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে ভিড় জমিয়েছেন এখানে। এসেছেন স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মীরা।

ক্বীন ব্রিজ সিলেটের সুরমা নদীর ওপর স্থাপিত প্রথম সেতু। যার ফলে সিলেট মানেই ক্বীন ব্রিজ। তাই সিটি নির্বাচনে এ ব্রিজ রয়েছে কেন্দ্রবিন্দুতে।

১৯৩৩ সালে লোহার কাঠামোয় দৃষ্টিনন্দন এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৩৬ সালে সেতুটি জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল ক্বীনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় ‘ক্বীন ব্রিজ’।

প্রায় আট দশক ধরে সচল সেতুটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংস্কারকাজ শেষে আবারও সচল হয় সেতুটি। নব্বই দশকের পর সিলেটে সুরমা নদীর ওপর আরও চারটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে ক্বীন ব্রিজ নগরের মধ্যভাগে হওয়ায় যান চলাচল কখনো বন্ধ হয়নি। লোহা দিয়ে তৈরি ক্বীন ব্রিজের আকৃতি অনেকটা ধনুকের মতো বাঁকানো। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট।

পর্যটননগরী সিলেটে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তারপরও এই ক্বীন ব্রিজ দখল করে নিয়েছে অন্যতম একটি জায়গা। ব্রিজটি সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবেও খ্যাত।

ব্রিজটির পাশেই রয়েছে বিখ্যাত আলি আমজাদের ঘড়ি। ঘড়িটিকে অনেকেই লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। বিশাল ঘড়িটি ইতিহাসের অনেক সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এখনও প্রতি ঘণ্টায় শব্দের মাধ্যমে জানান দিয়ে যাচ্ছে সময়।

প্রাকৃতিক স্থানের চেয়ে ঐতিহ্যের গুরুত্ব সবার কাছেই বেশি। তা দেশের পর্যটকই হোক কিংবা বিদেশি পর্যটক। তাই গভীর রাত ছাড়া সারাক্ষণ ক্বীন ব্রিজ থাকে লোকে লোকারণ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন