খেলাধূলা ডেস্ক :
বিপিএলে খেলতে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী এখন বাংলাদেশে। নয় বছর পর তিনি বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে এলেন। এর আগে ২০১৩ সালে খেলেছিলেন দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। এবার অবশ্য তিনি খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। বাংলাদেশের সঙ্গে বরাবরই মঈন আলীর সম্পর্কটা ভালো। ইংলিশ কাউন্টিতে সাকিবের একসময়ের সতীর্থ মঈনের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে একটা বিশেষ সম্পর্ক। সম্পর্কে যে তিনি বাংলাদেশের জামাই। আরও বিশদে বললে, মঈন হচ্ছেন সিলেটের জামাই।
বিপিএলের চতুর্থ পর্বের খেলা হবে সিলেটে। তাই সিলেটপর্বে খেলতে সব দল এখন সিলেটে। দলের সঙ্গে সিলেটে রয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈনও। পুণ্যভূমি সিলেটে পা দিয়ে মঈনের কি বিশেষ অনুভূতি হচ্ছে? মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসাইনের পৈতৃকভূমি যে এই সিলেট! ফিরোজার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অবশ্য ইংল্যান্ডেই। বিদেশ বিভুঁইয়ে বেড়ে উঠলেও শিকড় ভোলেননি তিনি। বেশ কয়েকবার ঘুরে গেছেন পৈতৃক ভিটে।
মঈনের সঙ্গে ফিরোজার সম্পর্ক কীভাবে হয়, তা সম্পর্কে খুব বেশি জানা জায়নি। বরাবরই ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে অনাগ্রহী এই অলরাউন্ডার। তবে তিনি জানান, মঈন-ফিরোজার বিয়ে হয় পারিবারিকভাবেই। এর আগে বাংলাদেশে আসা হলেও কখনো সিলেটে আসা হয়নি তার। এবার তিনি বিপিএল খেলতে সিলেটে। তাই পরিবারে বইছে ঈদের আনন্দ।
মঈন আলী জানান, তার শ্বশুরবাড়ির কিছু মানুষ ঢাকায় থাকেন। তার আগমনের খবরে তারা আসছেন সিলেটে। তবে জৈবসুরক্ষা বলয়ে থাকায় বাহিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না তিনি। তাই স্টেডিয়াম থেকে হাঁটাদূরত্বে হলেও যেতে পারছেন না শ্বশুরের ভিটে মহল্লাবাড়ি। তিনি আগ্রহ জানাচ্ছেন সিলেটি ভাষা সংস্কৃতির প্রতি। সিলেটি খাবারের স্বাদও নিতে চান মঈন।
এক সন্তানের জনক মঈনের জন্মভূমি পাকিস্তান। অভিবাসী মঈনের স্ত্রীর পরিবারও অভিবাসী তারই প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে। দুই অভিবাসীর মনের গহিনে শিকড় ছড়িয়ে আছে মাতৃভূমি। আবার ইংল্যান্ডও তাদের করে নিয়েছে আপন। অন্তরে তিন দেশ নিয়ে বিশ্বমানবকে যেন শত্রুতা ভুলে প্রেমের বাণী শোনাচ্ছেন মঈন-ফিরোজা দম্পতি।