হোম রাজনীতি সিরাজগঞ্জ-৫: সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে জামাই-শ্বশুরের সমঝোতা

রাজনীতি ডেস্ক:

অবশেষে সমঝোতা হলো জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুলের সঙ্গে শ্বশুর আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের। সমঝোতায় পৌঁছে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বেলকুচি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বড় একটি অংশ আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পক্ষেই মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।

বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বাসভবনে জামাই-শ্বশুরের সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাসসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, ‘শুক্রবার মেয়রের বাড়িতে বৈঠক হয়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নুরুল ইসলাম সাজেদুল।

বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস, সাবেক সহসভাপতি লুৎফর রহমান মাখন, সাবেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানী, বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জামাই নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও শ্বশুর আব্দুল লতিফ বিশ্বাস দুজনেই। কিন্তু বাছাইয়ে মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকায় বাদ পড়েন জামাই নুরুল ইসলাম সাজেদুল। কিন্তু পরে নুরুল ইসলাম সাজেদুল নির্বাচন কমিশনে আপিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। এখন সমঝোতা হওয়ায় সাজেদুল আপিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডলকে। এ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মমিন মণ্ডলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন