জাতীয় ডেস্ক :
ভয়াবহ সিডরের দেড় দশক পরও মেরামত হয়নি পিরোজপুরের শারিকতলা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ। ফলে জোয়ার ও বর্ষা মৌসুমে উদ্বেগে থাকতে হয় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধ নির্মাণে নেয়া হচ্ছে উদ্যোগ।
পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পূর্বের ইউনিয়ন শারিকতলা-ডুমুরতিলা। এর পাশ দিয়ে চলে গেছে জেলার সবচেয়ে বড় নদী কঁচা। নদী তীরবর্তী হওয়ায় বন্যা ছাড়াও অতি জোয়ারেও পানি প্রবেশ করে এখানে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সমস্যা সমাধানে নব্বই দশকের শেষের দিকে জেলা শহরের বলেশ্বরী নদ থেকে শুরু করে কলাখালী পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শারিকতলা-ডুমুরতিলা ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ থাকলেও ২০০৭ সালের নভেম্বরের সিডরে ৮ কিলোমিটারই ভেঙে যায়। ফলে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে এসব এলাকার ফসলি জমিতে লবণ পানি ঢুকে কমে যাচ্ছে উৎপাদন।
বর্ষা মৌসুমের সময় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটে সাধারণ মানুষের। এছাড়া, বেশ কিছু মাছের ঘেরও রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। তাই দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে, নতুন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানায় পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান।
পিরোজপুর জেলায় ৩৪৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। আর নির্মাণ কাজ চলছে মাত্র ২৩ কিলোমিটার বাঁধের।
