জাতীয় ডেস্ক:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পাঠানো এক চিঠিতে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জিএম কাদের।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে জিএম কাদের সিইসিকে জানান, গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে মো. মাহবুব আলম শাহ, উপসচিব (নি:স:ওস:), নির্বাচন কমিশন সচিবালয়য়ের স্বাক্ষরিত একটি ইমেইল পেয়েছি যার স্মারক নয়- ১৭.০০.০০০০.০২৫.৫০.০৯৪.২৩-৯৫১। সেই ইমেইলের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রধানের ক্ষেত্রে RPO এর Article 12, (3a) (b) এবং 16. (2) (3) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু চিঠিটি পাঠান। চিঠিতে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ৪টি নমুনা স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছিলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জাতীয় পার্টি দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হবে। তবে দলের মহাসচিব সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তপশিল ঘোষণার পর গতকাল বুধবার তারা সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণার পর সব দলের অংশগ্রহণে সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আশা করছি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাপা কখনো নির্বাচন বর্জন করেনি। এবারও করবে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে।
দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার অবস্থা তুলে ধরে রওশন এরশাদ বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।’
তবে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘তপশিল হলেই সমঝোতার পথ শেষ হয়ে যায় না। এখনো সময় আছে।
তারা আশা ছাড়েননি জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, সব দলকে নিয়ে মিলেমিশে আলোচনার মাধ্যমে একটি পথ বের করা হবে। আমরা অনুরোধও করেছিলাম, এটি হলে ভালো হতো। সরকারি দল আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে।’