অনলাইন ডেস্ক:
সালিশের নামে বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ দুই নেতাকে দলের সাংগঠনিকসহ প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত অপর নেতা হলেন যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হালিম।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অব্যাহতভাবে সংগঠনের নীতি আদর্শপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে তার পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
একই সাথে চাঁচড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হালিমকে ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এখন থেকে দলের কোনও কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘বিএনপি দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা ভঙ্গ করলে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১৭ এপ্রিল ভোররাতে সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সালিশ বসান। এরপর তারা করিচিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মালেকা বেগম নামে এক নারীর সেমিপাকা বাড়ি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের দুজনকে দল থেকে পূর্ণাঙ্গ রূপে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মালেকা বেগমের ছেলে শাকির আহমেদ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘প্রতিবেশী ফজরের সঙ্গে রাস্তার জমি দেওয়া নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। তারা বাড়ির পাশ থেকে রাস্তার জমি দিতে চাইলেও প্রতিবেশীরা মানেনি। তারা বিএনপি নেতাদের দিয়ে সালিশের নামে বাড়ির মাঝখান থেকে রাস্তা বের করতে তাদের তিনটি আধা পাকা বাড়ি ভেঙে দেয় এবং ঘরের আসবাবপত্র, সিলিং ফ্যান, বাইসাইকেলসহ মালামাল লুটপাট করে। ওই সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে আটকে রাখে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।’ এ ঘটনায় সেদিনই তিনি যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।