নিজস্ব প্রতিনিধি :
এ বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২’ উদযাপনের Theme: ‘Safe food today for a healthy tomorrow’
১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য অধিকার দিবস-২০২২ উপলক্ষে সকাল ১০ টায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির উদ্যোগে দিবসটি উদযাপনে জমায়েত, মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কমিটি আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানের কর্মসূচি হিসেবে ১৫ অক্টোবর সকাল ১০ টায় স্বদেশ প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৬ অক্টোবর সকাল ৯ টায় শহরের আমতলা এলাকায় গণজমায়েত শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী ও জমায়েত শেষে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন পর্যবেক্ষনে দেখা যায় গত পাঁচ বছরে গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সরকারি এ সংস্থার হিসাবে দেখা যায়,২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বছরে মোট ২৮ দশমিক ০৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে ২০১৭ সালে ১০০ টাকা দিয়ে যে পণ্য কেনা যেত ২০২২ সালে এসে সেটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১৩১ টাকা ৪১ পয়সা। সরকারি তথ্য যাচাই করার মতো দ্বিতীয় কোনো উৎস্য আমাদের নেই। কিন্তু টিসিবি পণ্যমূল্যের যে তথ্য দিচ্ছে এবং আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবন – যাপনের মধ্য দিয়ে উপলব্দি করতে পারি। সরকারি ডাটার চেয়ে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন।
বিবিএস সর্বশেষ খাদ্য আয় – ব্যয় জরিপে উঠে এসেছে, দেশে মাথপিচু গড় মাসিক আয় ১৫ হাজার ৯৪৫ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪৮/ যায় খাদ্য কেনায়। দারিদ্য ও প্রান্তিক পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে মাসিক মোট আয়ের প্রায় ৭০/ পর্যন্ত ব্যয় হয় খাদ্যের পেছনে। বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক বেশি যা ভবিষ্যতে আরও খারাপ হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে শুধু শহরাঞ্চলে নয়, দেশজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় যেমন জ্বালানি তেল, রান্নার চুলার গ্যাস, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিদ্যৎ, গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা কমিটির দাবি/ সুপারিশ
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে নতুন দারিদ্যের অন্তর্ভূক্ত করা এবং কর্মসূচীতে আর্থিক ও খাদ্যপণ্যের বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা
প্রান্তিক, শ্রমজীবি ও নিন্মবিত্ত মানুষ যাতে খেয়ে পরে বাঁচতে পারে, সে জন্য চাল, আটাসহ সকল নিত্যপণের মূল্য কমানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বর্তমানে চাল আমদানির ওপর ৩১/ কাস্টমস ডিউটি রয়েছে। খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও কাস্টমস ডিউটিসহ সব ধরনের শুল্ক তুলে দেয়া।
মূল্যের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পাইকারী ও খুচরা উভয় ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বাজার তদারকি নিশ্চিত করা।
দ্রব্যমূল্যের বাজারে নিয়ন্ত্রণে মূল্য কমিশন গঠনের জরুরী উদ্যোগ গ্রহণ করা।
উৎপাদিত কৃষি পণ্যের নায্য মুল্য নিশ্চিত করতে সরাসরি সকল উৎপাদিত কৃষি ফসল সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি ক্রয় করা এবং কৃষি বাজার সৃষ্টি করা।