আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ৭ দিনে শোক ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তার শেষকৃত্য শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
দেশটির কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে। ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের এই স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে।
এছাড়া ড. মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল। তিনি জানান, শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন নেতা ও নাগরিকরা শোক প্রকাশ করেছেন।
মনমোহন সিংয়ের বিনয়ী ব্যক্তিত্ব ও একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবে ভূমিকার প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার (মনমোহন) প্রজ্ঞা ও নম্রতা সর্বদা দৃশ্যমান ছিল।
লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং কংগ্রেসের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী তার ‘গুরু এবং পথনির্দেশকের’ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেছেন, লাখ লাখ মানুষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে মনে রাখবেন। এছাড়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খার্গসহ আরো বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সর্বদা ‘জাতির প্রতি তার সেবা, তার নিষ্কলঙ্ক রাজনৈতিক জীবন এবং তার পরম বিনয়ের’ জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার চলে যাওয়া জাতির জন্য বড় ক্ষতি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ সব দলীয় কর্মসূচি আগামী সাত দিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
১৯৩২ সালে পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। ১৯৭১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত সরকারে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।