হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা):
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস, এম আতাউল হক দোলনের শ্যামনগরের গুমনতলীর বাসভবনে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন। আর এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। আজ সকাল সাড়ে ৮ টায় সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউল হক দোলনের বাড়িতে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মনোনয়নের জন্য ৩ জন আবেদন করে। তারা হলেন: জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আব্দুস সাত্তার মোড়ল, চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন এবং কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড মাহবুবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলে এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে তিনি বাবার শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী না হয়ে জাতীয় পার্টিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুর রহমান এর নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ- শ্যামনগর জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসাবে খ্যাত। এর আগেও জাতীয় পার্টি থেকে শাহাদাত হোসেন এমপি হয়েছে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাবেক হুইপ এইচ,এম গোলাম রেজা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তখন আমি কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং চেয়ারম্যান সাফিয়ার বাবা প্রয়াত চেয়ারম্যান কে এম মোশারফ হোসেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এইচএম গোলাম রেজা সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর তার বাবা দুষ্কৃতি কারীদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করায় কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির দয়ায় সাফিয়াকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য করা হয়। এবার জাতীয় পার্টি থেকে আমরা ৩ জন মনোনয়ন চেয়েছিলাম দল যাকে ভালো মনে করেছে তাকে দিয়েছে। আমাকে না দিলেও আমি দলের জন্য কাজ করতাম। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় অন্য দলের সঙ্গে হাত মিলাইতে হবে এটা কোন দলের আদর্শ না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে জানানো হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।