নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা-২আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরপর দুই বারের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি বয়সের শেষ প্রান্তে এসে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় দুঃখ কষ্টে এই আসনে নৌকার বিজয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ক্ষোভ করে মানবতার মা স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট পুনঃবিবেচনাসহ মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের সাধারণ জনতা ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসনের পরপর দুইবারের সাংসদ গণমানুষের প্রাণপ্রিয় তৃণমূলের আস্থাভাজন নেতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-২আসনে পরপর ২ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত প্রাণপ্রিয় সাংসদ দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় সদর নির্বাচনী এলাকায় হাজারো নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তৃণমূল নেতাকর্মী-সমর্থকরা আশাহত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তৃণমূলের নেতা আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মফিজুর রহমান ও ওবায়দুর রহমান লাল্টুসহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ‘ বারবার দরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার, স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার বারবার দরকার, উপমহাদেশের সুপ্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান স্লোগান হলেও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকে মাইন বেধে অপারেশন জ্যাকপটে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন বয়সের শেষ প্রান্তে থাকা নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপিকে অবমূল্যায়ণ করে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং ১৪টি ইউনিয়নের দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানগণ সততা ও যোগ্যতার বিচারে এই সদর আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার বিজয়ে তার কোন বিকল্প নেই তার পক্ষে সুপারিশ করার পরও সাতক্ষীরা-২আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি ছাড়া আওয়ামী লীগের এই আসনটি ধরে রাখতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার আওয়ামী লীগের নেতৃমূল নেতৃবৃন্দসহ সর্বশ্রেণির জনগণ এবং আবারও সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী জামায়াত মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্খা করছেন। সাতক্ষীরা সদর আসনে ২০১৪ সালের আগে জামায়াতের ঘাঁটি খ্যাত এই আসনে জামায়াতের বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস পেতোনা। সততা ও যোগ্যতা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে জনসম্পৃক্ততা তৈরী করে বিগত ১০ বছরে জামায়াত শিবিবের ঘাঁটি ভেঙ্গে সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকাকে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাটিতে পরিনত করেছেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৩ সালের অশান্ত সাতক্ষীরাকে শান্ত করেছেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির ছোয়ায় সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকা হয়েছে উন্নয়নে আলোকিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পরিবার মুক্তিযুদ্ধের যে অনন্য ভূমিকা এবং অবদান রেখেছেন ইতিহাসের গৌরবময় সত্য, যা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প মোটিভেটর হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পিতা মীর ইশরাক আলী ইসু মিয়ার পরিবার দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা ও গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। কর্মজীবনে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তাবানি বেভারেজের প্রকল্প প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন, বি.এফ.এফ.ডব্লু.টি এর একটি প্রকল্প। সহকারী ব্যবস্থাপক (রয়্যাল কমিশনের অধীনে) ইয়াম্বু সৌদি আরব হিসেবে কাজ করেছেন। ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেল’র ডিরেক্টর সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করেছেন (এ ফাইভ স্টার ডিলাক্স প্রপার্টি)। সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন-বাংলাদেশ নৌকমান্ডো এসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। সারা বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় সাতক্ষীরার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুলেখা রানী দাস, রুমা রানী বরকন্দাজ, গীতা রানী এ প্রতিনিধিকে কাঁদতে কাঁদতে বলেন-আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এদেশে আর থাকবোনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি আমাদের বুঝতে দেয়নি আমরা সংখ্যালঘু। সন্ত্রাসী জামায়াত বাহিনীর তান্ডব ঠেকাতে ও আমাদের নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে আমরা তাকে ছাড়া অসহায়বোধ করছি। এজন্য পূণবিবেচনার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সদর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমেনসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি দলের জন্য জীবনের যা অর্জন ছিলো সব দিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রাণপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি করোনাকালীন সময়ে দল ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, নিজের জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এরপরও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলের কাছে তিনি কি পেলেন এবং আমরা ও কী পেলাম?’ সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষদের বিশ্বাস মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রীক বিষয় ভেবে পুনঃবিবেচনা করার দাবী জানিয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর আসনে আবারও আওয়ামী লীগের নৌকার বিজয় ধরে রাখতে দলীয় নেতাকর্মীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনতা জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে শেষ বারের মতো দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সাতক্ষীরাবাসী তথা দেশের ঋণ শোধ করাসহ আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ দেবেন জনেত্রেী শেখ হাসিনা বলে মনে করেন সাতক্ষীরাবাসী।