হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরা সদর থানায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক, বেড়েছে সেবার মান

সংকল্প ডেস্ক:

সাতক্ষীরা সদর থানায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক, বেড়েছে সেবার মান। থানায় আগত সাধারন মানুষকে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার জন্য সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো: মহিদুল ইসলাম অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার আচার ব্যবহারে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নসহ পৌরসভার সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১২ জুন তিনি সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে তার কর্মদক্ষতার ফলে মাদক বিরোধী অভিযানে অসংখ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারেন্ট, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও নিয়মিত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশের প্রহরায় আদালতে প্রেরণ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম।

ওসি মহিদুল যোগদানের পর থেকে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম এঁর নির্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গিয়ে তিনি বিট পুলিশিং সমাবেশের আয়োজন করেন। বিট পুলিশিং সমাবেশের মাধ্যমে তিনি পুলিশের সাথে জনগণের দুরত্ব কমিয়ে এনেছেন ।যার ফলে জনগণ পুলিশের সাখে খুব সহজেই তাদের মনের কষ্টের কথা এখন বলতে পারেন।

অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় ওসি মহিদুল গত আগষ্ট মাসে খুলনা রেঞ্জের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট অর্জন করেছেন। তাছাড়া আগষ্ট মাসে তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন।

ওসি মহিদুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গেলে কারো অনুমতি লাগেনা। ধনী-গরীব সবার জন্য তার অফিসের দরজা খোলা। খুব জটিল জটিল বিষয়গুলো ওসি মহিদুল তার কক্ষে দুই পক্ষকে বসিয়ে আলোচনা পূর্বক সালিশের মাধ্যমে মিমাংশা করিয়ে দেন। নিজের পেশাগত দায়িত্বে তিনি খুব একটিভ। প্রতিদিনের কাজ তিনি প্রতিদিনই সম্পন্ন করেন। কোনো কাজই তিনি পেন্ডিং রাখেন না। কোনো কোনো দিন ওসি রাতে টহল দিয়ে বাড়ি যান রাত ২-৩ টার দিকে। সম্প্রতি শহরের সঙ্গীতা মোড়ের মোবাইলের দোকান থেকে ৭০ টি দামী ব্রান্ডের মোবাইল চুরি হয়। ওসি মহিদুল অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ৭ দিনের ভিতরে বাহিরের জেলা থেকে সেই মোবাইল চোর কে ৭০ পিস মোবাইল সহ আটক করতে সক্ষম হন। ওসি মহিদুলের দুরদর্শিতায় শহরে অঞ্জানপাটি, মলমপাটি সহ চুরি -ডাকাতির মত অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটছেনা বললেই চলে। যত রাতেই মানুষ বিপদে পড়ুক না কেনো, ওসি মহিদুল সকলের ফোন রিসিভ করেন। এবং চেষ্টা করেন ধৈয্য সহকারে সকলের অভিযোগ শোনেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, মাত্র তিন মাসে সাতক্ষীরা থানার ওসির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, ৮ কেজি ৭৫০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, ২১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক,স্বর্ণের বার উদ্ধার ৭ পিস (মুল্য ৭৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা), ভারতীয় রুপা ৮ কেজি ৫০ গ্রাম উদ্ধার করেছে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ। তাছাড়া ওসি মহিদুলের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ৩ মাসে ৭৬ জন সাজা প্রাপ্ত আসামী ও ১০৪ জন্য ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

সাতক্ষীরা থানার ওসি মহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদকের নিকট একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, পুলিশ সাধারণ জনগণের বন্ধু আর অপরাধীদের শত্রু। আমি ওসি হিসাবে যতদিন এই থানায় থাকবো, ততদিন মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে এবং সাধারণ জনগণের শান্তির লক্ষ্যে ও আইনি সেবা দেওয়াটাই আমার প্রধান কাজ।

তিনি বলেন, নিরীহ সাধারণ মানুষকে যেনো কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হতে হয় এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য সে বিষয়ে সদর থানার সকল অফিসারদের সব সময় নিদের্শনা দেওয়া হচ্ছে । আর সেই মোতাবেক সকল অফিসাররা কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের চাকুরী এমন একটা পেশা যেখানে বসে সব শ্রেণীর মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে। তিনি বলেন, আমি যতদিন এই পেশায় চাকুরী করবো ততদিন আমি সমাজের অসহায়, নির্যাতিত ও নিরীহ মানুষদের উপকার করে যাবো। আমি জনতার পুলিশ হয়ে আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। আমি এখানে তো সারা জীবন চাকুরী করতে পারবোনা। আমি যখন সদর থানা থেকে বদলি হয়ে চলে যাবো অন্য কর্মস্থলে এবং সেখানে গিয়ে যখন শুনবো সাতক্ষীরার মানুষ আমাকে ভালো বলে। তখন দুরে বসে আমি আত্মতৃপ্তি পাবো। আর সেটাই হবে আমার চাকুরী জীবনের সফলতা। ওসি মহিদুল ইসলাম জেলার রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ জেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন