হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরা শ্যামনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১, আটক ৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বিরোধপুর্ণ জমিতে ঘর বাঁধা নিয়ে সংঘর্ষে শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার হাটচালা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাইন (৬৬) নামের একজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত উভয় পক্ষের তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটচালা গ্রামের মৃত অমেদ আলীর পুত্র। এঘটনায় পুলিশ আজিজুল ইসলাম (৪০), নুরজাহান বেগম (২৬), ইয়াকুব হোসেন ও শাহিদা বেগমকে আটক করেছে। প্রথম দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায় আব্দুর রাজ্জাক গাইন ও অলিল তরফদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বিরোধপুর্ন জমিতে ধর বাঁধার চেষ্টা করে। এসময় অলিল তরফদার এবং তার ছেলে আজিজুলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।

নিহতের ভাইপো মনির হোসেন জানান তাদরে দখলে থাকা জমির উপর আদালত স¤প্রতি স্থিতিবস্থা জারি করে। শনিবার সেখানে ঘর বাঁধতে গেলে অলিল তরফদারের জামাই এরশাদের নেৃতত্বে কৃষ্ণনগর থেকে আসা ২৫/৩০ জন লাঠিয়াল তাদের উপর হামলা করে। এসময় মাথায় হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জ্ঞান হারানোর পর আব্দুরৎ রাজ্জাককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ডাক্তাররা মৃত ঘোষনা করেন।

অলিল তরফদারের মেয়ে নুরজাহান বেগম জানান শ্যামনগর থেকে ৩০/৩৫ জন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই শাহাদাৎ ও রওশন তাদের দখলে থাকা জমিতে ঘর বাঁধার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মিলন হোসেন জানান, জরুরী বিভাগে নেয়ার ২০/২৫ মিনিট পরে আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে কোন মারাত্মক জখম পাওয়া না গেলেও ময়না তদন্তে তার প্রকৃত মৃত্যুর কারন জানা যাবে।

শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক শাহানুর আলম জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন