হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 18 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও হেলাতলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার একটি তদন্ত প্রতিবেদনে একজন বিচারপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের মোঃ আব্দুস সোবহান মোড়লের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই মাওলানা আবু দাইয়ান (দাউদ) ২০২২ সালের ৩০ মার্চ  আমার বিল্ডিংয়ের জানালার পাশে টয়েলেট নির্মাণ শুরু করলে পুলিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেই। পরে আমার বাবা আব্দুস সোবহান মোড়ল ১০৩২ নং খতিয়ানের বিপি ৫০৫ দাগ নং ৪২০৬ জমি নিয়ে আদারতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে চলমান আছে। পরবর্তিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কুশোডাঙ্গা ইউপি সদস্য মোঃ আলি আহাম্মাদ ও শেখ ফারুক হোসেন এবং মোঃ রিজাউল করিমের সহযোগিতায় মাওঃ আবু দাইয়ান তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বাদি করে ২০২৪ সালের ১১ জুলাই একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে অর্থের বিনিময় ম্যানেজ করে আমাকে এবং আমার বড় ভাই আবুল কালামকে কারাগারে পাঠিয়ে টয়েলেট নির্মান কাজ শেষ করে। পরর্তিতে আমি জামিনে বের হয়ে উক্ত মামলার বাদি আসামি ও ৩ জন পুলিশ কর্মকতাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এস আই শেখ রবিউল মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ায় গত ৬ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটা সংবাদ সম্মেলন করি।
আব্দুল খালেক আরো বলেন, পরবর্তিতে আমাদের একজন শরিক চাচাতো বোন বিলকিছ এর স্বামী শফিকুল ইসলাম ওই আওয়ামী নেতার সহযোগিতায় আমার বাবার প্রায় ১ শতক জমি জবরদখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করতে গেলে আমি আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা দায়ের করি। আদালত বিল্ডিং নির্মাণ কাজের উপর স্থিতিবস্থা জারি আদেশ দেন। পরবর্তিতে শুনানি শেষে বিল্ডিংটির নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। উক্ত মামলার একটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে কলারোয়া থানা ওসি ও আরেকটি তদন্ত পড়ে এসিল্যান্ড নুসরাত ইয়াসমিন এর উপরে। এসিল্যান্ড সেটির দায়িত্ব দেন হেলাতলা ভূমি সহকারি কর্মকর্ত (নায়েব) মোঃ মিজানুর রহমানের উপর। নায়েব ও এসিল্যান্ড আদালতে একটি মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করায় বিবাদী পক্ষ আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ রদ করে কাজ চালু করার অনুমোদন আনে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পরবর্তিতে এসিল্যান্ড নুসরাত ইয়াসমিন ও নায়েবসহ বাদি ও বিবাদী উভয় পক্ষকে নিয়ে গত ২৪ মার্চ বেলা ১২ টার দিকে মামলাটির লোক দেখানো শুনানি করেন। তিনি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবি জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন