নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌশলী আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলে মো: রাসেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাশ মন্ডল বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের হুমায়ুন কবির ও তার ভাই হাবিবুর রহমান হবি হত্যা মামলায় পিতা ও পুত্রকে পৃথক মামলায় পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এদিকে, আদালত থেকে জেলহাজতে নেওয়ার পথে আব্দুল লতিফ ও তার ছেলের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আদালত সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুচপুকুর গ্রামের হুমাযুন কবিরকে কাশেমপুর বাইপাস সড়কে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক মহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী ও তৎকালীন সরকারি কৌশলী আব্দুল লতিফকে ৫নং আসামীসহ মোট ৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজগার আলী। মামলা নং-১২,তাং ০৩/০৯/২৪।
অপরদিকে,একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি হত্যা মামলার ৩০ নং আসামী আব্দুল লতিফের ছেলে মো: রাসেল। মামলা নং-২৩। তাং-১২/০৯/২৪ সাতক্ষীরা আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম জানান, আব্দুল লতিফের কুকর্ম ফাঁস হতে শুরু করেছে। সরকারি কৌশলী হিসেবে তিনি যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন,সেটা নজিরবিহীন। পিতা-পুত্রকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন সরকারি কৌশলী আব্দুস সাত্তার,অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী এড এবিএম সেলিম প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামী পক্ষে ছিলেন এড. শফিউল ইসলাম শফি। প্রসঙ্গত,১২ ডিসেম্বর সকালে খুলনার বয়রা এলাকা থেকে আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেলকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
